পরের ম্যাচগুলোতেও ওপেন করতে প্রস্তুত মিরাজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানকে হারাতেই হতো বাংলাদেশের। আফগানদের বিপক্ষে ৮৯ রানের জয় এশিয়া কাপে শুধু বাংলাদেশকে টিকিয়েই রাখেনি; নিশ্চিত করেছে টুর্নামেন্টের শেষ চারের টিকিট। আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ফল যা-ই হোক, বাংলাদেশ এখন নিশ্চিন্ত। আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং– তিন বিভাগেই বাংলাদেশের নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। ব্যাট হাতে দারুণ সেঞ্চুরি করে দলকে সাফল্যের পথে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিলেন দুই সেঞ্চুরিয়ান মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
গত রবিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘আমার মনে হয় দারুণ উইকেট ছিল। ছেলেরা ভালো খেলেছে। শুরুর দিকে উইকেটে কিছুটা মুভমেন্ট ছিল। প্রথম দিকে আমরা পরিস্থিতি ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি।’ লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত মিরাজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তানজিদ হাসানের ব্যর্থতার পর আফগান ম্যাচে তাকে দিয়েই করানো হয় ওপেনিং। সেখানে দলকে প্রত্যাশিত সাফল্য এনে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। এর জন্য টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি মিরাজ, ‘এই কৃতিত্ব পুরোটা টিম ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়কের। গতকাল (শনিবার) তারা আমাকে ওপেনিং করতে বলেছিল। আমি তাদের কথায় রাজি হয়েছি। কারণ, গত এশিয়া কাপের (ওয়ানডে সংস্করণ) ফাইনালে ওপেন করেছিলাম। সে কারণে আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিল।’
সেই আত্মবিশ্বাসে জোরেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিরাজ। ১১৯ বলে ১১২ রানে ছিলেন অপরাজিত। মিরাজের কণ্ঠে উচ্ছাস, ‘আমি খুশি কারণ দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছি। মাঝের ওভারে যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখন আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কারণ দল থেকে বলেছিল আমার স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে।’ দল চাইলে সামনের ম্যাচগুলোতেও ইনিংস শুরু করতে প্রস্তুত মিরাজ, ‘আমি সবসময় যেকোনো বোলারকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আমার জন্য এটা আবার নতুন শুরু। যদি দল সুযোগ দেয়, পরের ম্যাচগুলোতে ওপেন করব।’
আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জয়ের কৃতিত্ব দেন দলের সবাইকে, ‘আমরা সব বিভাগেই দারুণ খেলেছি। ৫০ ওভার ব্যাটিংয়ের পর ফিল্ডিং করা মোটেও সহজ ছিল না। আমরা ভাগ্যবান যে জিতেছি।’ ‘ওপেনার’ মিরাজের পারফরম্যান্সেও খুশি অধিনায়ক, ‘সে সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছে। আমরা সবসময় বিশ্বাস করতাম তার মধ্যে সামর্থ্য আছে।’
শ্রীলঙ্কা ম্যাচ শেষে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, তারা এখন শুধু আফগানদের বিপক্ষে জয় নিয়েই ভাবছেন। সেটা তো হয়েছে। তখন আরও বলেছিলেন, সুপারফোর নিশ্চিত হলে তবেই ভাববেন সে পর্বের পরিকল্পনা নিয়ে। সুপারফোর নিশ্চিতের পর তাই এখন বাংলাদেশের ভাবনাজুড়ে শুধুই সুপারফোর।