আমি বাংলাদেশের নাহিদ রানাই হতে চাই
শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে অভিষেক। তবে পেসার নাহিদ রানা আলো কেড়ে নিয়েছেন পাকিস্তান সফরে। তার গতিতে বরাবরই নাভিশ্বাস উঠেছে পাক ব্যাটারদের। শেষ টেস্টের শেষ ইনিংসে হাসান মাহমুদের সঙ্গে মিলে ধসিয়েই দিয়েছেন পাকিস্তানকে।
এমন পারফর্ম্যান্স তাকে এনে দিচ্ছে পাদপ্রদীপের আলোয়। তবে তিনি পা রাখছেন মাটিতেই, জানালেন সেরাটা এখনও দেওয়া বাকি। সঙ্গে জানালেন, বাংলাদেশের নাহিদ রানাই হতে চান, পরিচয়টা চান নিজের নামেই।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন সিরিজের তিনি জানালেন, পরিকল্পনা মাফিক বোলিংই তাকে সাফল্য এনে দিয়েছে। তার কথা, ‘স্বপ্নের মতো না আসলে। দল আমার কাছে যা চেয়েছে, কিংবা আমি যা করতে চেয়েছি… দেশ ছাড়ার আগে বলেছিলাম আমি দেশের জন্য কিছু করতে চাই; তা করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, দলের পরিকল্পনা মানতে গিয়েই গতি উঠে গেছে দেড়শ কিলোমিটারে, ‘এটা কখনো ভাবিনি ১৫২ গতিতে বল করতে হবে, এর চেয়ে বেশি গতিতে করতে হবে… একটা চিন্তাই মাথায় ছিল যে, আমার দল আমাকে যে পরিকল্পনায় বল করতে বলে, সেটা মানা। আমি সে পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করেছি।’
সতীর্থদের সবাই তার সিনিয়র। আর তাদের সবার বোলিং দেখেই বড় হয়েছেন, জানালেন নাহিদ। আরও জানালেন, ভালো লাগে তাদের সবাইকেই। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে সেভাবে কাউকে অনুসরণ করি না। আমার বাংলাদেশের অনেক পেস বোলারকেই ভালো লাগে। তাদের খেলা দেখেই বড় হয়েছি। এখানে সবাই আমার সিনিয়র। তাদের খেলা টিভিতে দেখে বড় হয়েছি। সবার বোলিংই ভালো লাগে আমার।’
এবার সামনে বড় মঞ্চ। ভারতের মাটিতে সিরিজ। সে সিরিজের প্রস্তুতিও পুরোদমে নিচ্ছেন নাহিদ। বললেন, ‘প্রস্তুতি আছে। আজকে অনুশীলন করলাম। সেশনটা ভালো হয়েছে। এখানে প্রস্তুতিটা যত ভালো হবে, ওখানে গিয়ে ম্যাচে খেলাটা তত ভালো হবে। ভারত অবশ্যই ভালো দল। তবে দুই দলের মধ্যে যে দল ভালো ক্রিকেট খেলবে, সেই ম্যাচ জিতবে। তো ম্যাচের মধ্যে তখন দেখা যাবে।’
এরপরই চলে এল তার আইডল কে সে বিষয়টি। সে প্রসঙ্গে নাহিদের স্পষ্ট উত্তর, তিনি নিজের মতোই হতে চান। তার ভাষ্য, ‘আমি আসলে কারো মতো হতে চাই না। আমি আমার মতো হতে চাই। আমি নাহিদ রানা, আমি বাংলাদেশের নাহিদ রানাই হতে চাই।’