ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের আশা নেই, বললেন সৌরভ
পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করে বর্তমানে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তাদের পরবর্তী মিশন ভারতের মাটিতে, দুটি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়বেন নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এর আগে এখন মিরপুরে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাইগার ক্রিকেটাররা।
পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকলেও ভারতের মাটিতে তাদের হারানো খুব কঠিন, এটা মানেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। কিন্তু বাংলাদেশকে খোঁচা দিয়ে মন্তব্য জানিয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সৌরভ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘পাকিস্তানে গিয়ে তাদের হারানো সহজ নয়। তাই সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা। কিন্তু ভারতে খেলা সম্পূর্ণ আলাদা। ঘরের মাঠে হোক বা বিদেশে, ভারত খুবই শক্তিশালী দল। তাই আমি বাংলাদেশের কোনো আশা দেখছি না। ভারতই সিরিজ জিতবে। তবে যেহেতু পাকিস্তানকে তাদের দেশে হারিয়ে ভারতে আসছে বাংলাদেশ। তাই তাদের আত্মবিশ্বাস বেশি থাকবে। তাই ভারতকে কঠিন লড়াইয়ের জন্য তৈরি থাকতে হবে।’
বাংলাদেশকে তাচ্ছিল্য করে সৌরভের এমন মন্তব্য হালকা ভাবে নিতে পারেননি দেশের ক্রিকেট সমর্থকরাও। কারণ এদেশে বেশিরভাগ ক্রিকেটপ্রেমীরাই সৌরভ গাঙ্গুলীর বেশ ভক্ত। প্রিয় ব্যক্তিত্বের মুখে নিজ দলের বিরুদ্ধে এমন কটু কথা শোনাটা কারোই ভালো লাগবে না এটাই স্বাভাবিক।
‘চেন্নাইয়ে স্পিনাররা সুবিধা পাবে। ওখানে বাউন্স বেশি। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যটেল ও কুলদীপ যাদব এখন বিশ্বের সেরা চার জন স্পিনার। তাই তাদের বিপক্ষে খেলা সহজ হবে না। ভারতের মাটিতে তারাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র।’- নিজেদের বোলিং ইউনিটের সামর্থ্য নিয়ে এমনটাও বলেছেন সৌরভ।
সবশেষে পাকিস্তান ক্রিকেটের সাম্প্রতিক সময়ে যে দুর্দশা এবং বাজে ফর্ম, এগুলো নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন সৌরভ। আগের প্রজন্মের তুলনায় বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের পাকিস্তান দল অনেক দুর্বল, এমনটা ভাবেন তিনি।
‘আমি পাকিস্তানে প্রতিভার অভাব দেখতে পাচ্ছি। পাকিস্তানের কথা ভাবলেই জাভেদ মিয়াঁদাদ, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, সাইদ আনোয়ার, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইউনিস খানদের কথা মনে পড়ে। কিন্তু তারা তো আর এখন জেতাতে পারবে না। প্রতিটি প্রজন্মে ভালো ক্রিকেটার প্রয়োজন। কিন্তু ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং তারপর বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের যে খেলা দেখলাম- সেটা থেকেই প্রমাণিত যে পাকিস্তানের ক্রিকেটার উঠে আসছে না। তাদের এই দিকে নজর দেওয়া উচিত।’