‘সময়টা কঠিন’ যাচ্ছে ব্রাজিলের 

‘সময়টা কঠিন’ যাচ্ছে ব্রাজিলের 

এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৩ থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে ৭১টি ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল হেরেছিল কেবল পাঁচটিতে। তবে এবারের ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ৮ ম্যাচেই ৪টি হারের দেখা পেয়েছে তারা। আগের পরিসংখ্যান ছাপিয়ে এক আসরেই যখন ব্রাজিলের এই অবস্থা তখন তো এই কথাটা বলতেই হয়, সময়টা বড্ড কঠিন যাচ্ছে। 

সবশেষ আজকের (বুধবার) ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরেছে ব্রাজিল। এই ম্যাচের পর দলের সময়টা কেমন যাচ্ছে তা জানিয়ে সেলেসাওদের ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস বলেন, ‘বাছাইপর্ব সহজ কিছু নয়। সময়টা এখন কঠিন এবং আমাদেরকে বের করতে হবে, কীভাবে এটা সামলাতে পারি। একটা পালাবদলের সময় চলছে। আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি না আমরা।’

তবে কী শঙ্কা বড় কোনো দুর্ঘটনার? তার আগে একটু ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলটা ঘুরে আসা যাক। সেবার ১৭ ম্যাচের একটিতেও হেরেছিল না ব্রাজিল। ড্র ছিল কেবল ৩টিতে। মোট ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে নেইমাররা শেষ করেছিল বাছাইয়ের পর্ব এবং সেই অঞ্চল থেকে সবার আগে পৌঁছেছিল বিশ্বকাপের মূলপর্বে। 

শঙ্কাটা তবে কী ২০২৬ বিশ্বকাপে মূলপর্বে খেলা নিয়ে? এই মুহূর্তে আট ম্যাচে ব্রাজিলের পয়েন্ট স্রেফ ১০। আছে তালিকার পাঁচে। কনমেবল থেকে এবার সরাসরি ছয়টি দল খেলবে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূলপর্বে, সেটি অবশ্য ৪৮ দলের বিশ্বকাপের সুবাদেই। পয়েন্ট তালিকার সাত নম্বর দলেরও সুযোগ থাকছে বিশ্বকাপে খেলার। সেক্ষেত্রে তাদের আন্তঃ মহাদেশীয় প্লে অফ জিতে আসতে হবে। তবে ব্রাজিল শঙ্কার মাত্রাটা সেভাবে নেই। কারণ পয়েন্ট তালিকার এই অবস্থানও শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারলে কোনো বাঁধা ছাড়াই বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলবে দরিভাল জুনিয়রের দল। 

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কনমেবল অঞ্চলে সবশেষ পাঁচ বিশ্বকাপের চারবারই শীর্ষে ছিল ব্রাজিল, মাঝে ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শীর্ষে ছিল আর্জেন্টিনা। তবে ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোরা এসব পরিসংখ্যান থেকে এখন যোজন যোজন দূরে। আধিপত্য ধরে রাখা দলটি এখন যেন কোনোমতে বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করার সংগ্রাম। 

সম্পর্কিত খবর