দলের মতোন পাকিস্তান সফরটা স্বপ্নের মতো কেটেছে মেহেদী হাসান মিরাজেরও। সিরিজের দুই টেস্টেই জয়ে রেখেছেন সরাসরি ভূমিকা। ১০ উইকেট নেওয়া ছাড়াও ব্যাট হাতে করেছেন ১৫৫ রান। এতেই ম্যাচ সেরার খেতাব জিতেছিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। তবে সেই পুরষ্কার গ্রহণের সময় সবার চোখে আরও একবার আলোচনায় এলেন মিরাজ। পুরষ্কার গ্রহণের পর বলেছিলেন, ‘দেশ অনেক খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় এক রিকশাচালক আহত হন, পরে তিনি মারা গেছেন। এই ম্যাচ সেরার অর্থ আমি তার পরিবারকে দিয়ে পাশে দাঁড়াতে চাই।’

অবশেষ মিরাজ সেই কথা রাখলেন। গতকাল সেই রিক্সাচালকের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন পুরষ্কারসরূপ পাওয়া সেই ৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যায় প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। 

মিরাজ নিজেও জানেন হারানো জীবনের তুলনায় এই অর্থ তেমন কিছুই না। তবুও এই সময় সেই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোতেই সার্থকতা খুঁজলেন তিনি। 

আজ (বৃহস্পতিবার) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেই পরিবারের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে নিজের পুরস্কারের সেই অর্থ তাদের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি জানান মিরাজ। তার সেই পোস্টের লেখাগুলো নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো। 

‘সম্প্রতি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও আমার চোখে পড়েছিলো। ভিডিওতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এক রিকশাচালক ভাইয়ের সন্তানের কান্নাজড়িত কন্ঠের কথাগুলো আমাকে বারবার ভাবিয়ে তুলেছে। 

সে ভাইয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সংকল্প করেছিলাম। কথা দিয়েছিলাম পাকিস্তান সিরিজের 'ম্যান অব দ্যা সিরিজ' এর পুরষ্কারের অর্থ তুলে দেব তাদের হাতে। 

অবশেষে পূরণ হলো সে লক্ষ্য। গতকাল এই অর্থ তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি তাদের হাতে। জানি, হারানো জীবনের তুলনায় এই অর্থ কিছুই নয়। আমার এই সামান্য অর্থে তাদের জীবনকে কিছুটা সহজ করাটাই আমার সার্থকতা।’