৬ হারের পর জিতল বাংলাদেশ

৬ হারের পর জিতল বাংলাদেশ

মাঠ ও মাঠের বাইরে মিলছিল না কোন সুখবর। জয় পেতেও ভুলে গিয়েছিল দল। অবশেষে স্বস্তির হাসি সাকিব আল হাসানের মুখে। টানা ছয় ম্যাচ হারার পর অবশেষে জিতল বাংলাদেশ। সোমবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে তারা হারিয়েছে ৩ উইকেটে, হাতে ছিল ৫৩ বল।

নাজমুল হাসান শান্ত এবং সাকিব আল হাসানের ব্যাট সেভাবে হাসছিলো না। কিন্তু যেদিন হাসলো সেদিন দুইজনই সাজঘরে ফেরেন আক্ষেপ নিয়েই। অধিনায়ক আউট হন ব্যক্তিগত ৮২(৬৫) রানে। অন্যদিকে সহ-অধিনায়ক শান্ত’র আক্ষেপ ১০ রানের। খেলেন ১০১ বলে ৯০ রানের ইনিংস। দুজনই উইকেট দেন আঞ্জেলো ম্যাথিউসের বলে। যার টাইমড আউট নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। একপ্রকার প্রতিশোধই নিলেন ম্যাথিউস! তবে বেগ পেতে হয়নি টাইগারদের। তাদের ব্যাটে চড়েই চলতি আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো বাংলাদেশ। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের হারিয়েছে পাঁচ উইকেটে।

নাজমুল হাসান শান্ত এবং সাকিব আল হাসানের ব্যাট সেভাবে হাসছিলো না। অবশেষে তাদের ব্যাট হাসার জন্য এমন দিন বেচে নিলো, তাদের ব্যাটে চড়েই চলতি আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০ ওভার শেষে ১৩০/২। এই জিততে হলে বাংলাদেশের করতে হবে ১৮০ বলে ১৫৭ রান।

শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। তবে ওপেনিং জুটি তাদের উড়ন্ত সূচনা ধরে রাখে মাত্র দুই ওভার। ২.১ ওভারে টাইগাররা হারায় তানজিদ তামিমের উইকেট। ব্যর্থতা যেনো তামিমের পিছুই ছাড়ছে না। মধুশঙ্কার বলে পাথুম নিশাঙ্কার হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তোলেন মাত্র নয় রান। তবে বল খেলেছেন মাত্র পাঁচটা।

দারুণ শুরু করে আরেক ওপেনার লিটন দাসও সুবিধা করতে পারেননি। একই বোলারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে তার রান ২২ বলে ২৩। ১০৪.৫৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে হতাশ করা নাজমুল শান্ত’র ব্যাট অবশ্য হাসতে শুরু করে এদিন। সাকিবের সাথে গড়েন ১৪৯ বলে ১৬৯ রানের জুটি। যেখানে শান্তর অবদান ৮৪ বলে ৮৩। অন্যপ্রান্তে থাকা সাকিবের অবদান ৬৫ বলে ৮২।

এই রান করার পথে সাকিব স্পর্শ করেছেন সাড়ে সাত হাজার ওয়ানডে রানের মাইলফলক। ওয়ানডে ক্রিকেটে সাড়ে সাত হাজার রান হাজার রান এবং তিনশোর বেশি উইকেট নেওয়া অলরাউন্ডারদের মাঝে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এই কীর্তি গড়েন সাকিব। তার ম্যাচ সংখ্যা মাত্র ২৪৭।

সাকিব-শান্ত ফেরার পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফেরেন দ্রুতই। ১৩ বল খেলে তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। রিয়াদ করেন ২২(২৩)। এরপর অবশ্য জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশের। মেহেদী মিরাজ এবং তানজিম সাকিবকে সাথে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেই মাঠে ছাড়েন তাওহীদ হৃদয় ১৫*(৭)।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কুশাল মেন্ডিসের উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর প্রথম উইকেট জুটিতে ৬১ রান যোগ করেন অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস এবং ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সাদিরা সামারাবিক্রমা এবং চরিথ আসালাঙ্কা তুলেন ৬৩ রান।

৬ষ্ঠ উইকেটে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ৮২ বলে ৭৮ রানের যোগ করেন আসালাঙ্কা। শেষের দিকে মাহেশ থিকসানার সাথে গড়েন ৪৮ বলে ৪৫ রানের জুটি। একপ্রান্ত আগলে রেখে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন আসালাঙ্কা। ছয় বাউন্ডারি আর পাঁচ ওভার বাউন্ডারিতে করেন ১০৮(১০৫)। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন তরুণ তানজিম হাসান সাকিব। দুইটা করে উইকেট শিকার করেছেন সাকিব এবং শরীফুল।

সম্পর্কিত খবর