লিভিংস্টোনের তোপে অজিদের হারিয়ে সমতায় ইংল্যান্ড
দিনটা জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের হতে পারত। অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি পেয়েছিলেন এই ম্যাচে। তবে লিয়াম লিভিংস্টোন সেটা হতে দেননি। ব্যাটে বলে দারুণ পারফর্ম করে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন ৩ উইকেটের দারুণ এক জয়। তাতেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা এনে ফেলেছে ইংলিশরা।
ম্যাকগার্ক সবশেষ আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে তার আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে নজরে এসেছিলেন। এরপর আলোচনায় চলে এসেছিলেন বিশ্বকাপেরও, কিন্তু তার ভাগ্যে শেষমেশ শিঁকে ছেঁড়েনি। বিশ্বকাপের পরই দলে জায়গা করে নেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কঠিন বাস্তবতা বুঝতেও সময় নেননি একেবারেই। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ফ্লপ ছিলেন একেবারেই।
তবে ইংল্যান্ড সিরিজে এসে সুযোগ পেলেন আবার। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জাত চেনালেন নিজের। গতকাল তিনি নামেন তিন নম্বরে। সেখানে নেমে ৩১ বলে খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। তার আগে ম্যাথিউ শর্টের ২৮, ট্র্যাভিস হেডের ৩১, কিংবা তার পর জশ ইংলিসের ৪২ রানের ইনিংস, আর শেষ দিকে অ্যারন হার্ডির ২০ রানের ক্যামিওতে ভর করে অস্ট্রেলিয়া দাঁড় করায় ১৯৩ রানের পুঁজি।
ইংলিশ বোলারদের বেধড়ক মার খাওয়ার দিনে লিভিংস্টোন আলো কেড়ে নেন। ৩ ওভার বল করে নেন ২ উইকেট, তাও মাত্র ১৬ রান খরচায়। এই ম্যাচে তার চেয়ে ভালো ইকনমি ছিল না আর কারো।
বল হাতে নিজের কাজটা করে ফেলেছিলেন। এরপর ব্যাট হাতেও করলেন। ১৯৪ রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড যখন ৩৪ রানেই খুইয়ে বসেছে ২ উইকেট, ঠিক তখন তিনি এলেন ক্রিজে। সেখানে নেমে খেললেন ৪৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংস।
চতুর্থ উইকেটে জেকব ব্যাথেলের সঙ্গে গড়েন ৪৭ বলে ৯০ রানের জুটি। অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে ম্যাচটা ইংল্যান্ডে মুঠোয় চলে আসে তখনই। বেথেলের বিদায়ের পর ইংল্যান্ড কিছুটা বিপাকে পড়েছে বটে। তবে লিভিংস্টোন উইকেটে ছিলেন শেষের আগ পর্যন্ত।
দুই দলের রান যখন সমান, তখন তিনি ফেরেন ম্যাথিউ শর্টের বলে। তবে তখন দলের প্রয়োজন ছিল ১ রান, তাও ৮ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখে। ইংল্যান্ড আরও একটা উইকেট খোয়ালেও তাই পা হড়কায়নি। ম্যাচটা জিতেছে ৩ উইকেটে। সিরিজে এনেছে সমতা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আগামীকাল সন্ধ্যায় আবারও মুখোমুখি হবে দুই দল।