মুল্ডারের নৈপুণ্যে লজ্জার রেকর্ড এড়াল প্রোটিয়ারা
৩৬ রানেই নেই ৭ উইকেট। লজ্জার রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তেই পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেটিও আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ১৯৯৩ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্রেফ ৬৯ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। এবার সারজাতে শঙ্কা জেগেছিল আরও কমে গুটিয়ে যাওয়ার। তবে টেল এন্ডারে ওয়াইন মুল্ডার দেখালেন নৈপুণ্যে। তার ফিফটিতে চড়ে তিন অঙ্কের সংগ্রহে পৌঁছাল সফরকারীরা।
৩৩ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে রানে ১০৬ অলআউট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন মুল্ডার। এছাড়া কেউ পেরোতে পারেনি ২০ রানের গণ্ডিও।
সবাইকে চমকে দিয়ে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠেছিল আফগানিস্তানের। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শেষ চারে ওঠায় বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল আফগানরা, স্বপ্ন দেখছিল ফাইনাল খেলার। তবে তাদের সেই স্বপ্ন শেষ হয়েছিল ১১ ওভার ৫ বলেই। কেননা দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে স্রেফ ৫৬ রানেই অলআউট হয়েছিল তারা। পরে ম্যাচটি হেরেছিল ৯ উইকেটে।
এবার সেই প্রতিশোধটা তোলার অনেকটাই কাছে পৌঁছে গিয়েছিল আফগানরা। যদিও ওয়ানডে বিবেচনায় এই ১০৭ রানের লক্ষ্যটা থাকল সহজের কাতারেই।
সারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। পরে ব্যাট করতে শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাট করছিলেন দুই ওপেনার রিজা হেন্ড্রিক্স ও টনি ডি জর্জি। তবে দলীয় ১৭ রানের মাথায় হেন্ড্রিক্সকে বোল্ড করে ফেরান ফারুকি।
সেখান থেকেই শুরু সাজঘরে ফেরার লাইন। পরে ১৯ রান যোগ করতেই একে একে সাজঘরে ফেরেন মার্করাম, জর্জি, স্টাবস, স্মিথ, কাইল ও পেহলুকাইয়ো।
পরে অষ্টম উইকেটে ফরটুইনকে নিয়ে ৩৯ রানের ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন মুল্ডার। সেখানে ১৬ রান করে ফরটুইন ফিরলেও মুন্ডার ফিরেছেন দলের সংগ্রহ ১০০ পেরিয়ে যাওয়ার পর।
এদিকে আফগানদের সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন ফারুকি। এছাড়া তিনটি উইকেট নিয়েছেন গাজানফার।