বাংলাদেশকে বিশ্বরেকর্ডের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইনিংস ঘোষণা ভারতের

বাংলাদেশকে বিশ্বরেকর্ডের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইনিংস ঘোষণা ভারতের

ধরুন আপনি একজন পর্বতারোহি। তবে আপনি কখনো দেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্ঘই জয় করেননি। আপনার সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হলো এভারেস্ট জয়ের। কেমন হবে বিষয়টা? এমনই পরিস্থিতিতে আজ পড়ল বাংলাদেশ। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৭ রান তুলে ফেলেছে ৪ উইকেট খুইয়ে। সঙ্গে প্রথম ইনিংসে পাওয়া ২২৭ রানের লিড যোগ করে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়িয়েছে ৫১৫ রানের। 

এটা তুলতে পারলে বাংলাদেশকে বিশ্বরেকর্ডই গড়তে হবে। চতুর্থ ইনিংসে সফল রান তাড়া করার কীর্তিটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে সেন্ট জোন্সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রান তাড়া করে জিতেছিল দলটা। তবে বাংলাদেশের লক্ষ্যটা এখন তার চেয়েও ৯৭ রান বেশি।

বিষয়টা অবশ্য অনুমিতই ছিল। ভোররাতের বৃষ্টি আর সকালের মেঘলা আকাশের ফায়দাটা বাংলাদেশ তুলতে পারেনি। পেসাররা তেমন কিছু সুযোগ তৈরিই করতে পারেননি। ফলে এই সুযোগটা হাতছাড়া হয় দলের। এরপর যখন পরিস্থিতিটা অনুকূলে চলে এল, তখন ভারতের দুই ব্যাটার শুভমান গিল আর ঋষভ পান্ত মিলে রান তুলেছেন হাত খুলে। তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের লক্ষ্যটা ৫০০ রানের কম হচ্ছে না।

আজকের দিনে বাংলাদেশ সাফল্য পেয়েছে একটা। সেঞ্চুরিয়ান পান্তের উইকেট তুলে নিয়েছেন আগের দিন বিরাট কোহলিকে আউট করা মেহেদি হাসান মিরাজ। তার আগে সুযোগ এসেছিল তাকে সেঞ্চুরির আগেই আউট করার। তবে সাকিবের বলে সে ক্যাচটা নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নিতে পারেননি। 

সে সুযোগের পর তো বটেই, গোটা দিনেই বাংলাদেশের দেহভাষ্য ছিল খুবই নেতিবাচক। যার ফায়দা তুলে পান্ত তুলে নিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এরপর শুভমান গিলও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। এরপর ভারত তাদের ইনিংস ঘোষণা করেছে ৫১৪ রানের লিড নিয়ে। 

বাংলাদেশের সামনে এই লক্ষ্যটা প্রায় অসম্ভব কিছুই। আধুনিক ক্রিকেটে শেষ ইনিংসে ৫০০ রানই করতে পারেনি কোনো দল। সর্বোচ্চ রানটা ৪৫১। আর হিসেবটা বাংলাদেশের ধরলে রানটা হবে ৪১৪, ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫২১ রান তাড়া করতে গিয়ে এই রান তুলেছিল দল। 

যদি সফল রান তাড়া করার রেকর্ড ধরা হয়, তাহলে সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, তা আগেই জেনে গেছেন। বাংলাদেশের সফল রান তাড়া করার ইতিহাসটা কত রানের জানেন, মাত্র ২১৭। জিততে হলে তাই এখন অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে।

 

সম্পর্কিত খবর