একমাস কেমন কাটল বিসিবি সভাপতির?

একমাস কেমন কাটল বিসিবি সভাপতির?

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও একবার ফারুক আহমেদের আবির্ভাব। তবে অনেকটা ধুমকেতুর মতো করেই। একেবারেই সিলেবাসের বাইরে থেকে আসা প্রশ্নের মতোই। পাপনের পদত্যাগেই দরজা খুলে গেলো তার। ২০১৬ সালে পাপন-হাথুরুদের মুখের ওপর যে গাটস্ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন, আট বছর পর সেটা ফিরে এলো টাইগার ক্রিকেটের সবচাইতে বড় দায়িত্ব হয়ে।

ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নিয়েছেন গত ২১ আগস্ট। যেটার এক মাস পূর্ণ হয়েছে শনিবার। অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর। যদিও এক মাস দিয়ে মূল্যায়ণ অনেকটাই কম সময়, তবুও হিসেব কষা যা।

এই সময়ে বিসিবি থেকে প্রাপ্য গাড়ির সুবিধা নেওয়া কিংবা নিয়মিত নিয়ম করে অফিস করা, এমন অনেক কিছুই করেছেন সাবেক অধিনায়ক। এই সময়েই বাংলাদেশ পেয়েছে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচাইতে বড় সাফল্য। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে ২-০ তে। যেটার জন্য দলকে বোনাসও তিন কোটি ২০ লাখ টাকা।

এই সময়ে বন্যা কবলিতদের জন্য বিসিবি থেকে দিয়েছেন এক কোটি টাকা অর্থ সহায়তা। এছাড়াও তিন হাজার পরিবারের জন্য পাঠিয়েছেন শুকনো খাবার।

বিসিবির অর্থিক অবস্থার কথা ভেবেই বাতিল করেছেন পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের টেন্ডার। কোনো লাক্সারি নয়, সেখানে আগে নিশ্চিত করতে চান খেলার মাঠ। প্রেশার কমাতে চান মিরপুরের ওপর।

এই সময়ে অনেক পরিচালকই আছেন আত্মগোপনে। কেউ কেউ পদত্যাগও করেছেন৷ তবে ফারুক আহমেদ তারুণ্য-অভিজ্ঞতার মিশিলে মাত্র ৮-১০ জন কর্তা নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন কাজ। যেটা অনেকটাই অসাধ্য সাধনের মতোই কাজ৷


প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেরা চারটি অডিট ফার্মের মধ্য থেকে একটাকে বেছে নিয়ে স্বাধীনভাবে বিসিবির আর্থিক কর্মকাণ্ড অডিট করার প্রতিষ্ঠান নিয়োগের। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বোর্ড সভাপতির দুজন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগ করা হবে আরও তিনজন।

এরই মধ্যে জানিয়েছেন ডিসেম্বরের ২৭ তারিখে শুরু হবে বিপিএলের পরবর্তী আসর। এরমধ্যে মিটিং করেছেন দলগুলোর সাথেও। পুরাতন, বর্তমান এবং আগ্রহী - তিন পক্ষের সাথে বসেছেন বিসিবি বস। প্রক্রিয়া শুরু করেছে থার্ড ডিভিশন ক্রিকেট লিগ চালুরও।

পুরো দেশের মতো বিসিবিও পার করছে চ্যালেঞ্জিং সময়। সেখানে বোর্ড সভাপতি আপাতত এই এক মাসের কাজের জন্য লেটার মার্ক পেতেই পারেন। দেখার অপেক্ষা সামনের দিনগুলোতে কেমন করেন।

 

সম্পর্কিত খবর