স্বস্তিতে সেশন শেষ বাংলাদেশের
কানপুর টেস্টে আজ মাঠে নেমেছে ভারত ও বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে শুরুর এক ঘণ্টায় দুই উইকেট খুইয়ে বসার ধাক্কা সফরকারীরা কাটিয়ে উঠেছে সেশনের শেষ দিকে। শান্ত ও মুমিনুলের প্রতিরোধে ভর করে সেশন শেষে তুলেছে ৭৪ রান।
শুরুর আধঘণ্টায় সাদমান ইসলাম আর জাকির হাসান মিলে ভালোভাবেই সামলেছেন প্রতিপক্ষের দুই বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ আর মোহাম্মদ সিরাজকে। উইকেটটা চেন্নাইয়ের মতো নয়, কানপুরে যোগ হয়েছিল মেঘলা আকাশও। সব মিলিয়ে দুই পেসার ভালোভাবেই সুযোগটা নিচ্ছিলেন, বলও সুইং করছিল আগের টেস্টের চেয়ে .২ ডিগ্রি বেশি।
তবে জাকির আর সাদমান মিলে সেটা সামলাচ্ছিলেন বেশ। জাকির বুমরাহর তিন ওভার থেকে রান নেননি। ওদিকে সাদমানের ব্যাটের কোণায় লেগে স্লিপে বারদুয়েক বল গেলেও বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। ওপেনিং থেকে সব রানই এসেছে তার ব্যাটে।
শুরুর আধঘণ্টা বাদে বোলিং আক্রমণে পরিবর্তন আনেন রোহিত শর্মা। একপাশ থেকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর অন্য পাশ থেকে আসেন আকাশ দীপ। অশ্বিনকে সামলে দিলেও আকাশের বলে সর্বনাশ হয় দুই ওপেনারের। ভারতীয় পেসারের প্রথম ওভারে গালিতে ক্যাচ দেন জাকির। তখনও তিনি রানের খাতা খোলেননি।
এর ওভার চারেক পর সাদমান ইসলামও শিকার বনেন আকাশের। তার ইনকামিং বলটা মিস করেন সাদমান। বল লাগে তার প্যাডে। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া দেননি। তবে আকাশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে রিভিউ নিয়ে নেন সঙ্গে সঙ্গেই, রোহিতসহ পুরো দল তখন খানিকটা সন্দেহে ছিল। তবে রিভিউতে দেখা যায় লেগ স্টাম্প মিস করছে না বলটা, লাগছে লেগ স্টাম্পেই। ফলে আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন। ৩৬ বলে ২৪ রান করা সাদমান ফেরেন সাজঘরে।
দ্রুত ২ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ খানিকটা ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছিল। তবে সে ধাক্কাটা দল সামলেছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের ব্যাটে চড়ে। দুজন মিলে সেশন শেষ করে দিয়ে এসেছেন। তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪৫ রানের জুটি গড়ে তবেই ফিরেছেন মধ্যাহ্ন বিরতিতে। তাতে খানিকটা স্বস্তি নিয়েই সেশনটা শেষ করেছে বাংলাদেশ।