কানপুরে ভারতীয়দের মারধরের শিকার বাংলাদেশি সমর্থক
বাংলাদেশের খেলা থাকলেই গ্যালারিতে দেখা মেলে দুই-একজনের, যারা বাঘ সেজে গিয়ে সমর্থন যোগান প্রিয় দলকে। এবারের ভারত সফরে বাংলাদেশের সমর্থনে গেছেন এমনই এক ভক্ত ‘টাইগার রবি’।
তবে কানপুর টেস্টে তিনি অপ্রীতিকর এক ঘটনার শিকার বনে গেলেন। তার অভিযোগ, গ্যালারিতে ভারতীয় সমর্থকদের মারধরের শিকার হয়েছেন তিনি।
এবারের ভারত সফরের আগেই হিন্দু মহাসভা ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশের ভারত সফরের তীব্র প্রতিবাদ জানাবে তারা। দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে তারা বনধের ঘোষণাও দিয়েছিল। সে কারণে এই ম্যাচে পরিস্থিতিটা বাংলাদেশের জন্য একটু বিরূপই।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছিল বাংলাদেশ দলকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। নিরাপত্তা পাচ্ছেন সফররত সাংবাদিকরাও। তবে দর্শকদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা কী রাখা হয়েছে, তা জানায়নি পুলিশ প্রশাসন।
টাইগার রবি আজ টেস্টের প্রথম দিনে শিকার হলেন বিরুপ পরিস্থিতির। তিনি জানান, ঘটনা শুরু হয় মধ্যাহ্ন বিরতির সময়ে। তার কথা, ‘সকাল থেকেই দর্শকদের একটা অংশ আমাকে গালি গালাজ করছিল। যখন মধ্যাহ্ন বিরতির সময় হলো, তখন আমি নাজমুল শান্ত ও মুমিনুল হকের নাম ধরে চিৎকার করছিলাম।’
‘তারপর কিছু লোক এসে আমাকে ধাক্কা দেওয়া শুরু করে। আমার ম্যাসকট, আমার পতাকা ছিঁড়ে ফেলতে চেয়েছিল তারা। আমি বাধা দিলে এরপর ওরা আমাকে মারধর শুরু করে। ’
রবি আজ গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বেলকনিতে। গ্যালারির এই অংশটা নিরাপত্তার জন্য দর্শকদের জন্য বন্ধ করা ছিল। তিনি বলেন, ‘একজন পুলিশ আমাকে ওই ব্লকে দাঁড়াতে মানা করেছিল। আমি সেখানে ছিলাম, কারণ আমি ভয়ে ছিলাম। তারা আমাকে সকাল থেকে গালিগালাজ করছিল। আমি যথেষ্ট বলিউডি সিনেমা দেখেছি, যার ফলে এগুলো যে গালি, তা বুঝতে আমার সমস্যা হয়নি।’
শেষে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে তারা এটা করেই যাচ্ছে। নিজের দেশ, নিজের দলকে সমর্থন জানাতে আসা কি কোনো অপরাধ?’
যদিও কানপুরের কল্যাণপুর এলাকার এসিপি অভিষেক পান্ডে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পানিশূন্যতার কারণে তিনি (রবি) পড়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি ভালো অনুভব করছেন। মারামারির অভিযোগটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁকে কোনো সমর্থক আঘাত করেনি।’
যদিও এর আগে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় পুনেতে শোয়েব আলী বুখারী (যিনি টাইগার শোয়েব নামে পরিচিত) ভারতীয় দর্শকদের আক্রোশের শিকার বনে গিয়েছিলেন। তার টাইগার ম্যাসকটও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল সেদিন।