নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল শ্রীলঙ্কা
প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে অলআউট হয়েই নিউজিল্যান্ডের নিয়তি ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকেই শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়াটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। ওই অবস্থা থেকে জিততে হলে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো কিউইদের। সেটা করা হয়নি, ফলে ইনিংস ও ১৫৪ রানে হেরে লঙ্কানদের কাছে ধবলধোলাই হয়েছে কেন উইলিয়ামসনের দল।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৬০২ রানের পাহাড় গড়েছিল। ডাবল সেঞ্চুরি না পেলেও কামিন্দু মেন্ডিস করেছিলেন ১৮২ রান। দীনেশ চান্দিমাল আর কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে ভর করে এই রান তোলে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
এরপর নিউজিল্যান্ডকে রীতিমতো গুঁড়িয়েই দেন দুই লঙ্কান স্পিনার প্রবাথ জয়াসুরিয়া আর নিশান পেইরিস। জয়াসুরিয়া ৪২ রান খরচায় নেন ৬ উইকেট। সঙ্গে পেইরিস ৩৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
৫১৪ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। তৃতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা তাদেরই, ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে ৬৮০ রান তুলেছিল দলটা। এরপর এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৯১ সালে ৬৭১ রানের ইনিংসও আছে দলের। ম্যাচটা ড্র করতে হলেও তেমন ইনিংস প্রয়োজন ছিল কিউইদের।
তবে এবার কেউ ২০১৪ এর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কিংবা ১৯৯১ সালের মার্টিন ক্রো হয়ে উঠতে পারেননি। গ্লেন ফিলিপস, মিচেল স্যান্টনার, টম ব্লান্ডেলরা ফিফটি পেয়েছেন বটে, কিন্তু এরপরই উইকেট খুইয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। প্রথম ইনিংসে জয়াসুরিয়া ছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধান হন্তারক, পেইরিস ছিলেন পার্শ্বচরিত্রে। আজ দুজনের ভূমিকা বদলে যায়, পেইরিসের কাছেই ৬ উইকেট হারায় সফরকারীরা, ৩ উইকেট নেন প্রবাথ।
দুইজনের স্পিন বিষে নীল হয়ে ৩৬০ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ফলে শ্রীলঙ্কা ম্যাচটা জিতে নেয় ইনিংস ও ১৫৪ রানের ব্যবধানে। যার ফলে সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার আশাটা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা।