মুমিনুল ১০৭, বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ২৩৩ রানে

মুমিনুল ১০৭, বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ২৩৩ রানে

২৩৩ রানে থেমে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। লাঞ্চের পর যেন চটজলদি অলআউট! ৬৬ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ দল। আর লাঞ্চের পর মাত্র ৮.২ ওভার খেলে আর মাত্র ২৮ রান যোগ করেই গুটিয়ে গেল।

একপ্রান্ত আঁকড়ে থাকা মুমিনুল হক যে বাকি কারোর কাছ থেকে তেমন সমর্থনই পেলেনই না। অপরাজিত ১০৭ রান নিয়ে মুমিনুল অপরপ্রান্তে দাড়িয়ে সঙ্গী সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখলেন!

কানপুরের বৃষ্টিভেজা উইকেট যে খুব বেশি আনপ্লেয়বল কিছু হয়ে উঠেছে তাও কিন্তু নয়। একমাত্র মুমিনুল বাদে বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান যে দাড়াতেই পারলেন না। লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান যে কায়দায় আউট হলেন তাকে বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা।

বৃষ্টিতে আড়াইদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকালে চতুর্থদিনের খেলা মাঠে গড়ায়। আর এদিন সকালে ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ২৩৩ রানে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে চতুর্থদিন রান উঠলো মাত্র ১২৬। উইকেট পড়লো ৭টি।

সময়ের হিসেবে এই ম্যাচের বাকি এখন দেড়দিন মাত্র। বাংলাদেশের অলআউটের পর চতুর্থদিনের আরো ৫৯ ওভার খেলার সময় বাকি। বাংলাদেশের গড়া প্রথম ইনিংসের স্কোর টপকে ভারত শেষদিনে অতিথি দলকে বড় চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। বাংলাদেশের স্কোর ছাড়িয়ে যাওয়ার পর শেষদিনের শেষ দুই সেশনে তারা আরেকবার বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। ম্যাচের যা পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের ভঙ্গুর ব্যাটিং এবং ভারতের তেজি বোলিং- এই অনুষঙ্গকে যোগ করলে বলা যেতেই পারে কানপুরে শেষদিন বড় বিপদ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য!

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭৪.২ ওভারে ২৩৩/১০ (জাকির ০, সাদমান ২৪, মুমিনুল ১০৭*, শান্ত ৩১, মুশফিক ১১, লিটন ১৩, সাকিব ৯, মিরাজ ২০, তাইজুল ৫, হাসান ১, খালেদ ০; বুমরাহ ১৮-৭-৫০-৩, সিরাজ ১৭-২-৫৭-২, অশ্বিন ১৫-১-৪৫-২, আকাশ ১৫-৬-৪৩-২, জাদেজা ৯.২-০-২৮-১)

সম্পর্কিত খবর