বাংলাদেশের ২৩৩ এর জবাবে ভারত ২৮৫
বাংলাদেশ ৭৪.২ ওভারে ২৩৩ রান। জবাবে ভারত ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে করলো ২৮৫ রান। প্রথম ইনিংস ৫২ রানে এগিয়ে থাকার সুবিধা পেল ভারত। এসবই কানপুর টেস্টের চতুর্থদিনের ঘটনা। সারাদিনে দুপক্ষের সবমিলিয়ে উইকেট পড়লো ১৭টি। রান উঠলো ৪১১। এই হিসেব শুধমাত্র দু’দলের প্রথম ইনিংসের হিসেব।
ব্যাট-বলের এই লড়াইয়ে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে থাকলো ভারত। কানপুর টেস্টে ফল নিয়ে আসার জন্যই ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ঝড়ো ব্যাটিং করলো।
আড়াইদিন বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে চতুর্থদিনের খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে থামিয়ে দিয়ে ভারত ঝড়ো কায়দায়, কখনো টি- টেন, কখনো টি- টোয়েন্টি এবং কখনো ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালায়। ছক্কা-চারের ঝড়ে ভাসিয়ে তারা দ্রুতগতিতে বাংলাদেশের স্কোর টপকে যায়।
ভারতের এই ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ইনিংসে বেশ কিছু টেস্ট রেকর্ডের দেখাও মিলল। টেস্টে ওভারের হিসেবে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ফিফটি, শতরান এবং আড়াইশ রানের নতুন রেকর্ড গড়লো ভারত এই টেস্টে।
চতুর্থদিনের সকালটা বাংলাদেশের ভালো হয়নি। শুরুতেই মুশফিক রহিমের উইকেট হারায় তারা। লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান যে কায়দায় আউট হলেন তার রিপ্লে দেখলে তারা নিজেরাই লজ্জিত হবেন। দুজনেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন। একপ্রান্ত আঁকড়ে মমিনুল হক একাই লড়ে গেলেন।
শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই হাফসেঞ্চুরিতে পৌছান তিনি। হাফসেঞ্চুরির পর তার ইনিংস আরো সুন্দর করে সাজান মুমিনুল। লাঞ্চের ঠিক আগেভাগে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। টেস্টে এটি ভারতের মাটিতে তার প্রথম সেঞ্চুরি। ভারতের মাটিতে এর আগের চার টেস্টে মুমিুনল ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন। কানপুর টেস্টে এসে ব্যাক্তিগত সেই দুঃখ ঘোঁচান তিনি। ৯৫ রানে অবশ্য দ্বিতীয় স্লিপে একবার ক্যাচ দিয়েছিলেন মুমিনুল। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই ক্যাচ হাতে রাখতে পারেননি বিরাট কোহলি। বোলার ছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ১৭২ বলে তার এই সেঞ্চুরি জানান দিল কানপুরের উইকেটে এখনো চাইলেই বড় রান তোলা যায়। টেস্টে এটি তার ১৩ নম্বর সেঞ্চুরি। আর ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম। ১৩ টি টেস্ট সেঞ্চুরির সবগুলোই তার এশিয়ার মাটিতে।