নাটকীয় শেষদিনের অপেক্ষায় কানপুর, ম্যাচ বাঁচাতে পারবে বাংলাদেশ?
ঠিক যা করতে চেয়েছিল তাই পেয়েছে ভারত। বাংলাদেশকে দ্রুততগতিতে অলআউট করতে চেয়েছিল। পেরেছে। ২৩৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দ্রুতগতিতে রান তুলতে চেয়েছিল ভারত। সেটাও পেরেছে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই। ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে।
প্রথম ইনিংসে ভারত এগিয়ে থাকে ৫২ রানে। দিনের শেষভাগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়নি। ওপেনার জাকির হাসান ফিরে গেছেন চটজলদি। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা হাসান মাহমুদও ব্যর্থ। চতুর্থদিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ২৬ রান। এখনো ভারতের চেয়ে ২৬ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। কাঁধে ঝুলছে হারের আশঙ্কা!
শেষদিনের সকালের সেশনে বাংলাদেশের ব্যাটিংই জানান দিবে এই ম্যাচের ফল কি হতে যাচ্ছে। ভারতের পরিকল্পনটা ভীষন পরিস্কার। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে দ্রুততম সময় এবং স্কোরের মধ্যে গুটিয়ে দিয়ে ম্যাচ জিতে নেওয়া। ভারতের এই ইচ্ছেকে এখন খুব সম্ভবপর কিছুই মনে হচ্ছে।
একটু মনে করিয়ে দেই, এই ম্যাচের আড়াইদিন বৃষ্টির কারণে খেলাই হয়নি। অথচ সেই ম্যাচেই এখন ভারত জয়ের স্বপ্ন ছড়িয়েছে। জেতার জন্য আসলে ইচ্ছেটাই আসল।
মঙ্গলবার সকালে চতুর্থদিনের খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ে।বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে থামিয়ে দিয়ে ভারত ঝড়ো কায়দায়, কখনো টি- টেন, কখনো টি- টোয়েন্টি এবং কখনো ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালায়। ছক্কা-চারের ঝড়ে ভাসিয়ে তারা দ্রæতগতিতে বাংলাদেশের স্কোর টপকে যায়।
ভারতের এই ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ইনিংসে বেশ কিছু টেস্ট রেকর্ডের দেখাও মিলল। টেস্টে ওভারের হিসেবে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ফিফটি, শতরান এবং আড়াইশ রানের নতুন রেকর্ড গড়লো ভারত এই টেস্টে।
চতুর্থদিনের সকালটা বাংলাদেশের ভালো হয়নি। শুরুতেই মুশফিক রহিমের উইকেট হারায় তারা। লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান যে কায়দায় আউট হলেন তার রিপ্লে দেখলে তারা নিজেরাই লজ্জিত হবেন। দুজনেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন। একপ্রান্ত আঁকড়ে মুমিনুল হক একাই লড়ে গেলেন। করলেন সেঞ্চুরি। টেস্টে এটি তার ১৩ তম সেঞ্চুরি এবং ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত রইলেন তিনি। বাংলাদেশের বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ তাকে তেমন সহায়তাই করলেন না। দ্বিতীয় ইনিংসেও এখন ম্যাচ বাঁচাতে মুমিনুলের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ।
কানপুরের উইকেটে স্পিন যেভাবে বাঁক নিচ্ছে তাতে শেষদিন ভারতের স্পিনারদের সামাল দেয়াই হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।