এক নজরে আইপিএলের বদলে যাওয়া যত নিয়ম
২০২৫ আইপিএলের আগে নিয়মে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে আইপিএলের গভার্নিং কাউন্সিল। নিলাম তো বটেই, টুর্নামেন্ট নিয়েও এসেছে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত।
সিদ্ধান্তগুলোর বেশিরভাগই নিলাম-কেন্দ্রিক। গতকালকের এই সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো চলুন দেখে নেওয়া যাক–
১। বর্তমান স্কোয়াড থেকে ৬ জন খেলোয়াড়কে রাখতে পারবে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেটা রিটেনশন ও রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করে করতে পারে দল। খেলোয়াড় ধরে রাখার হিসেবের সময় রিটেনশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ জন খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো, আর সর্বোচ্চ দুই জন খেলোয়াড়কে রাখা যাবে ‘আনক্যাপড ভারতীয়’ কোটায়।
পাঁচ বছর আগে কোনো ভারতীয় ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালে, কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ বছর ধরে কোনো ক্রিকেটার জাতীয় দলে সুযোগ না পেলে বা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলে তিনিও ‘আনক্যাপড’ কোটায় চলে যাবেন। তবে এই নিয়ম শুধু ভারতীয়দের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
২। নিলামের স্যালারি ক্যাপ আগে ছিল ১০০ কোটি রুপি, এবার তা ২০ কোটি রুপি বাড়ানো হয়েছে। তবে কোনো দল যদি ৫ জন খেলোয়াড় ধরে রাখে, তাহলে সেটা নিলামের সময় নেমে আসবে ৪৫ কোটি রুপিতে।
স্বাভাবিক নিয়মে অকশন পার্স ও স্যালারি বাড়ানো মিলিয়ে ১৪৬ কোটি রুপি খরচ করতে পারবে দলগুলো। ২০২৬ নিলামে সংখ্যাটা হবে ১৫১ কোটি, ২০২৭ নিলামে তা গিয়ে দাঁড়াবে ১৫৭ কোটিতে।
৩। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ধরে রাখা হচ্ছে।
৪। ম্যাচ ফি দেওয়া হবে প্রথম বারের মতো। প্রতিটি খেলোয়াড়কে প্রতি ম্যাচের জন্য দলগুলোকে দিতে হবে ৭.৫ লাখ রুপি। যার ফলে প্রতি মৌসুমে সব ম্যাচ খেললে খেলোয়াড়দের আয় হবে বাড়তি ১ কোটি রুপিরও বেশি অর্থ। তবে এই অর্থ দলগুলোর স্যালারি ক্যাপ কমিয়ে দেবে না, থাকবে আলাদাই।
৫। দল রেখে না দিয়ে থাকলে সব বিদেশী খেলোয়াড়কেই নাম লেখাতে হবে নিলামে। তা না হলে পরের নিলামেও তিনি নাম লেখাতে পারবেন না।
৬। কোনো খেলোয়াড় নিলামে নাম দিয়ে দল পেয়েও যদি আইপিএলে না খেলেন, তাহলে সেই খেলোয়াড়কে সে মৌসুম ও পরের আইপিএলে নিষিদ্ধ করা হবে।