টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে যা বললেন হৃদয়
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু কাল থেকে। গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ মাঠে নামবে ভারতের।
এই ম্যাচের আগে তরুণ তাওহীদ হৃদয় এলেন সংবাদ সম্মেলনে। কথা বললেন সাকিবের বিদায়, সিরিজ থেকে দলের লক্ষ্য, ব্যক্তিগত লক্ষ্য ইত্যাদি বিষয়ে।
সে সংবাদ সম্মেলনের চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো স্পোর্টস বাংলার পাঠকদের জন্য–
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ–
চাপ তো থাকেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ থাকবেই। ওটা যদি মাথায় থাকে, তাহলে আমার মনে হয় না আমরা পারফর্ম করতে পারব। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে আমাদের প্রসেসের দিকে, আমরা কীভাবে পারফর্ম করতে পারব, কীভাবে ফলাফলটা আমাদের পক্ষে আসবে আমরা সেদিকেই লক্ষ্য রাখি।
সাকিবের না থাকা–
সাকিব ভাই নেই, তাকে আমরা মিস করব। এক দিন না একদিন তো সবাইকে যেতেই হবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে আশা করি ভালোভাবেই বিষয়টা কাটিয়ে উঠতে পারব।
সিরিজ থেকে লক্ষ্য–
আলাদা কোনো কিছু টার্গেট করিনি। সিরিজটা গুরুত্বপূর্ণ, এখানে সবাই ভালো করতে এসেছে, সবাই তাই করতে চায়। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সেরা চেষ্টাটা করতে চাই।
সুপারস্টারদের বিদায়ে নিজেদের সুপারস্টার হওয়ার সুযোগ প্রসঙ্গে–
সুপারস্টার তৈরি হওয়ার বিষয়টা আমি বলতে পারব না, সময়ই বলে দেবে। দিন শেষে পারফর্ম করাটাই মুখ্য। পারফর্ম যদি করি, দলের জন্য ভালো ফলাফল যদি আনতে পারি, তাহলে এখান থেকেই হয়তো অনেকে আসবে, তার সম্ভাবনা আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম্যান্স ছাড়া অন্য কিছুই মুখ্য নয়, আমরা সবাই পারফর্ম করতে চাই।
দলের অবস্থা কেমন?
দল অনেক ভালো আছে। আমরা যদি আমাদের পটেনশিয়াল অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে যে কোনো জায়গায় অ্যাচিভমেন্ট আমাদের কঠিন কিছু হবে না।
২০২০ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ৬ জন আছেন এ দলে–
৬ জন আছি বলেই আমরা অন্যরকম, তা নয়, আমাদের কাছে ১৫ জনই সমান। অনেকে টেস্ট খেলেছে, অনেকে অন্য ফরম্যাট খেলেছে, ১০-১২ জনের মতো অভিষেক হয়ে গেছে। ওটা আমাদের বড় অর্জন ছিল, এটা অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস দেয়। এটা নিয়ে ভাবার সময় নেই এখন। এখন সামনের দিকে তাকাতে হবে, এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপে যদি ভালো করি, তাহলে ওই অভিজ্ঞতা, ওই অর্জনটা কাজে লাগবে বলতে পারব। এখানে যদি ভালো কিছু করতে না পারি, তাহলে আমার মনে হয় না ওটা খুব বেশি একটা কাজে আসবে আমাদের জন্য।
উইকেট নিয়ে ভাবনা কী?
এখানকার উইকেট অতীতে কী হয়েছে, তা নিয়ে ভাবছি না। এই উইকেট এখানে কী ডিমান্ড করে, সে অনুযায়ী আমরা এক্সিকিউশন করার চেষ্টা করব। আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ আসবে, তা আমরা নিতে প্রস্তুত।
টি-টোয়েন্টি তো রানের খেলা, এখানে সবাই রান চায়। এটা নতুন ভেন্যু, এখানে আর খেলা হয়নি, আমরা জানি না এখানে কতোটুকু কী হতে পারে, আমার মনে হয় এখানে খেলা শুরু হলেই বুঝতে পারব কেমন উইকেট। এখানের উইকেট দেখে লো স্লো উইকেট বলে মনে হয়েছে, এ ধরনের উইকেটে বড় রান খুব কম হয়। আইপিএলও এখানে হয়নি, দেখা যাক এখানে কী হয়।
খর্বশক্তির ভারতকে হারানোর প্রসঙ্গে–
হতে পারে, ওভাবে আমরা চিন্তা করি না। আমরা যখন মাঠের ক্রিকেটে খেলি, তখন খেলোয়াড় কে আছে, কে নাই ওভাবে মাথা কাজ করে না। আমরা সবসময় আমাদের দিকেই মনোযোগটা রাখি। আমাদের প্রক্রিয়াই মেনে চলার চেষ্টা করি। হয়তো সুযোগ আছে ওদের হারানোর, এমন না যে আমরা বড় দলকে হারাইনি, টি-টোয়েন্টিতে বড় দল ছোট দল বলে কিছু নেই। আমার মনে হয় যে নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলবে, সেই জিতবে।
নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে–
আমি অনেক পজিশনে ব্যাট করেছি। কিন্তু ওটা দলের ডিমান্ড ছিল। এখন দল যদি চায় আমি একটা জায়গায় সেটল হবো, একটা জায়গায় ব্যাট করব, তাহলে হবে ইন শা আল্লাহ। যেটা হয়ে গেছে, ওটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আপনি দেখবেন জাতীয় দলে এসে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই তার পছন্দের জায়গাটা পায় না। জায়গাটা তৈরি হতে হয়, এটার যোগ্য হলে আপনাআপনিই চলে আসবে।