শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত, বিদায় নিল বাংলাদেশ
সুপার ফোরে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশের। গাণিতিক হিসাব-নিকাশে ফাইনালের ক্ষীণ একটা সম্ভাবনা তবু ছিল। সে সম্ভাবনা জিইয়ে থাকতে আজ ভারতকে হারাতে হতো শ্রীলংকার। তা আর হল কই!
তিন স্পিনারের ঘূর্ণিতে ভারতকে ২১৩ রানে আটকে দিয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে কলম্বোর বোলিং সহায়ক উইকেটে সে রানও তাড়া করতে পারল না স্বাগতিকরা।
পাকিস্তানের মতো শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদেরও চাপে ফেলে দেয় ভারতের দুই পেসার জশপ্রীত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সিরাজ। পাওয়ারপ্লে’র মধ্যেই স্বাগতিকদের প্রথম তিন ব্যাটারকে সাজঘরের পথ চেনান তারা।
চতুর্থ উইকেটে সামারাবিক্রমা এবং আসালাঙ্কা জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে পরপর দুই ওভারে তাদের দুজনকেই নিজের শিকার বানান পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট পাওয়া কুলদীপ যাদব। নিজের ব্যাটিং দুর্দশা এই ম্যাচেও কাটাতে পারেননি লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। জাদেজার বলে স্লিপে ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯ রান।
৯৯ রানে ৬ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে তখন চোখরাঙানি দিচ্ছিল বড় ব্যবধানে হার। তবে সপ্তম উইকেটে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এবং বোলিংয়ে আলো ছড়ানো দুনিথ ওয়েলালাগের ৭৩ রানের জুটিতে আরও একবার আশায় বুক বেঁধেছিল লঙ্কান ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদিও দলীয় ১৬২ রানে জাদেজার বলে ধনঞ্জয়া মিড অনে ক্যাচ হয়ে ফিরতেই চুপসে যায় প্রেমাদাসার গ্যালারি।
১৬২-র সঙ্গে আর ১০ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৪১.৩ ওভারে ১৭২ রানে থামে তাদের ইনিংস। ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়েলালাগে। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। দুটি করে উইকেট পান জশপ্রীত বুমরাহ এবং রবীন্দ্র জাদেজা।
এই হারে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে স্বাগতিক শ্রীলংকার ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। সে ম্যাচের জয়ী দল ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।