বদলে যাওয়া দিল্লিতে সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ

বদলে যাওয়া দিল্লিতে সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ

প্রথম ম্যাচে গোয়ালিয়র থেকে বিশাল হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। এখন দল আছে খাদের কিনারে। এখন যে কোনো ম্যাচে হার মানেই সিরিজ থেকে ছিটকে পড়া। আজ দিল্লিতে সিরিজটা জিইয়ে রাখার সে চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। 

ভারত সফরে এখন পর্যন্ত প্রত্যেকটা ম্যাচই হেরেছে দল। এর মধ্যেও দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামটা বাংলাদেশকে খানিকটা সুখস্মৃতি দিচ্ছে। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানোর একমাত্র স্মৃতি যে এই মাঠেই! ২০১৯ সালে এই মাঠেই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হারিয়েছিল ভারতকে।

তবে সে সুখস্মৃতি সাম্প্রতিক ইতিহাসে চোখ রাখলে উবে যাওয়ার যোগাড় হয়। এবারের আইপিএলে সেটা দেখা গেছে, শেষ কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দেখা গেছে তাই। শেষ কিছু দিনে এই মাঠ ভারতের সবচেয়ে রানপ্রসবা মাঠগুলোর একটা। 

এবারের আইপিএলে এই মাঠে পাঁচ ম্যাচ হয়েছে। তার ১০ ইনিংসের ৮টাতেই দলগুলো তুলেছে ২০০র বেশি রান। সেখানে অবশ্য আইপিএলের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম ছিল। তবে তার পরও এই মাঠ যে রানপ্রসবা, সে সত্যটাকে অস্বীকার করার উপায় একটুও নেই। তাই আজও নিদেনপক্ষে ২০০ রানের আশা এই মাঠ থেকে করাই যাচ্ছে। 

এখানেই বেরিয়ে আসে বাংলাদেশের সমস্যাটা। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল আগের ম্যাচেই বেরিয়ে এসেছিল। নিখাদ ব্যাটিং উইকেটে দল অলআউট হয়েছিল মোটে ১২৭ রান তুলে। তারপর তো অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলের ব্যাটিং নিয়ে বলেওছিলেন, ‘আমরা দেশের মাটিতে ১৪০-১৫০ রানের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত, তাই ১৮০ রান কিভাবে করতে হয়, তা আমরা জানি না।’

আজ সেখানে রীতিমতো ২০০ রানের উইকেটে দলকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন উইকেটে আধুনিক টি-টোয়েন্টির যুগের প্রায় প্রত্যেকটা দলের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য বেড়ে যায় লাফিয়ে। সে উইকেটেই বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই আজ। দলের সামনে যে কঠিন এক পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে, তা আর বলতে।

সম্পর্কিত খবর