দিল্লিতে পাওয়ার প্লেতে ‘পাওয়ার’ বাংলাদেশের
গ্রেট স্টার্ট বাই বাংলাদেশ!
২৫ রানে ভারতের দুই ওপেনারকে বিদায় করতেই কমেন্ট্রি বক্স থেকে তামিম ইকবাল এই মন্তব্য করলেন। পাওয়ার প্লে’র মধ্যে দুই মারকুটো ওপেনারের উইকেট তুলে নেওয়া দারুণ বিষয়। ভারতের ইনিংসের শুরুতে সেই দাপটটা দেখালো বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে’ কাটলো তাদের উইকেট শিকারের সাফল্যে। মুস্তাফিজও বাকি দুই পেস সতীর্থের মতো নিজের প্রথম ওভারে উইকেট শিকারে নামলেন। তুলে নিলেন সূর্যকুমার যাদবের প্রাইজ উইকেট। এটিও সেই স্লোয়ার বলে আউট। ৬ ওভার শেষে ভারতের স্কোর দাড়ালো ৩ উইকেটে ৪৫ রান।
ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারেই সাফল্য পান তাসকিন ও তানজিদ হাসান সাকিব। ওপেনার স্যাঞ্জু স্যামসনকে দারুণ এক ফাঁদে ফেলে আউট করেন তাসকিন। ওভারের প্রথম পাঁচ বলের মধ্যে দুটো বল স্লো করেন। ওভারের শেষ বলটা করার আগে রান আপ আরেকটু লম্বা করেন। ব্যাটসম্যানকে ধারনা দেন লম্বা রান আপে তিনি জোরে বল ঠুকবেন। কিন্তু সেখানেই বোকা বনেন স্যামসন। গতি বাড়িয়ে বল করার ভঙ্গি করলেও তাসকিন বলটা করেন ধীর গতিতে। তাতেই মিস টাইমিং করে বসেন স্যাঞ্জু স্যামসন। মিডঅফে সহজ ক্যাচটা নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
অফস্ট্যাম্পের বাইরে পড়া বলে জায়গায় দাড়িয়ে শট খেলতে গিয়ে অভিষেক শর্মা বিপদ ডেকে আনেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল তার স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেয়। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন ভারতীয় ওপেনার।
পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মুস্তাফিজ। দিল্লির বল গ্রিপ করা এই উইকেট মুস্তাফিজের বোলিং স্টাইলের জন্য আদর্শ। সাফল্য পেতেও দেরি করলেন না মুস্তাফিজ। স্লো অফ কাটারে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট। টসে জিতে বোলিং বেছে নেওয়ার নাজমুল হোসেন শান্তর সিদ্ধান্তকে শুরুতে সঠিক প্রমাণই করলেন বাংলাদেশের পেসাররা। পাওয়ার প্লে’র এই ৪৫ রানের মধ্যে প্রথম ওভারেই ভারত পায় ১৫ রান। যা আসে ম্যাচের প্রথম ওভার থেকে।
জি¦, সেই ওভার করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩ বাউন্ডারিতে তার খরচা হয়েছিল ১৫ রান।