কোন নীতিতে চলে গ্রেডিং পদ্ধতি, প্রশ্ন ইমরুলের
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১তম আসরের ড্রাফটের আর খুব বেশি সময় নেই। এর আগে খেলোয়াড়দের মূল্য ও ক্যাটাগরি প্রকাশ করা হয়েছে। ৬ ক্যাটাগরিতে আছেন ১৮৮ খেলোয়াড়। তবে এই তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস।
আজ শুক্রবার ইমরুল এক ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তার প্রশ্ন, গ্রেডিংটা আসলে কোন নীতির ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। তিনি নিজের উদাহরণও টেনেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে ক্রিকেটারদের গ্রেডিং দেখে চিন্তা করছি গ্রেডিংটা আসলে কিসের ভিত্তিতে করা হয়। জাতীয় দল, সারা বছরের ঘরোয়া পারফরম্যান্স, বিপিএলের পারফরম্যান্স নাকি শুধু নাম দেখে করা হয়। বছরজুড়ে ক্রিকেটের আশেপাশে না থাকা ক্রিকেটারের জায়গা হলো ‘বি’ গ্রেডে। অথচ গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা ‘সি’ গ্রেডে। তবে কি শুধু নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়?’
এরপর বিপিএলের পারফর্ম্যান্স দিয়ে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া, ও এরপর পারফর্ম করেও না ফিরতে পারা নিয়েও হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘বিপিএলের ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আমি ভালো করতে পারিনি। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের পর আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিসিবির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যখন কথা হলো তখন বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, বিপিএলে আমার পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো ছিল না। যেহেতু প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি তাই আমি কোনো সংকোচ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘জাতীয় দলে ফিরতে আমি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। ২০১৯-২০ মৌসুমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রানও করেছিলাম। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পরও আমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়নি। এমনকি জাতীয় দলের কোন ক্যাম্পেও রাখা হয়নি। তবে কি বিপিএলে পারফর্ম না করলেই বাদ? কিন্তু পারফর্ম করলে, সেটাও তো বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ক্রিকেটের দুর্দিন কি তবে শেষ হবে না?’