জয় দিয়ে মাহমুদউল্লাহকে বিদায় দিতে পারবে বাংলাদেশ?
টি-টোয়েন্টিতে একটা যুগের ইতি ঘটছে বাংলাদেশে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে আজ। পাঁচ মহীরুহের সবশেষজন হিসেবে এই ফরম্যাট ছাড়ছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে তার শেষটা অন্তত জয় দিয়ে রাঙাতে পারবে কি না বাংলাদেশ, ভারত সফরের শেষ ম্যাচের আগে এই প্রশ্নই শোনা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
বাস্তবতা বলছে, তা হওয়ার সম্ভাবনা কমই। টেস্ট সিরিজ হোয়াইটওয়াশ করার পুনরাবৃত্তি ভারত টি-টোয়েন্টিতেও করতে চাইবে, তাই স্বাভাবিক। গোয়ালিয়র আর দিল্লিতে যেভাবে খেলেছে, সেই ফর্ম ধরে রেখে হায়দরাবাদেও তেমন খেলতে মরিয়া স্বাগতিকরা।
ওদিকে বাংলাদেশ? এই সফরের প্রায় সব ম্যাচেই বাংলাদেশ খুব বাজে ব্যাটিং করেছ। ভালো বোলিং যা হয়েছে, তাও কালেভদ্রে। টি-টোয়েন্টিতেও তাই হয়েছে, সবশেষ ম্যাচে ভালো বোলিং করলেও তা যথেষ্ট ছিল না, কারণ ভারত তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দারুণভাবে দিয়েছে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় রান পাওয়ার মূলমন্ত্র হচ্ছে, পাওয়ারপ্লেতে উইকেট খোয়ানো যাবে না। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তার পরও দলটা গড়েছে ২২১ রানের পাহাড়। নীতিশ কুমার রেড্ডি আর রিঙ্কু সিং মিলে চতুর্থ উইকেটে ১০৮ রান তোলার পর, হার্দিক পান্ডিয়া আর রিয়ান পরাগ শেষদিকে বেশ কিছু বড় শট খেলেছেন। ২২২ রানের বিশাল লক্ষ্য বাংলাদেশের জন্য অনেক কঠিন ছিল। সফরকারীরা ১৩৫ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে থেমে যায়।
তার আগে প্রথম ম্যাচেও পারফর্ম্যান্স ছিল এমনই। সব মিলিয়ে এমন পারফর্ম্যান্সের পর শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে বাজি ধরার মানুষ খুব কমই মিলবে।
বাংলাদেশের জন্য এখন পর্যন্ত সিরিজের একমাত্র ইতিবাচক দিক ছিল পেস বোলারদের পারফরম্যান্স। দিল্লিতে তাসকিন আহমেদ ১৬ রানে ২ উইকেট নেন, মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন তার চিরচেনা ছন্দে আর তানজিম হাসান সাকিব নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন। তবে স্পিনারদের জন্য আবার ভুগেছে বাংলাদেশ।
এরপর বাংলাদেশের টপ অর্ডারও ভালো করতে পারেনি। লিটন দাস আর নতুন পারভেজ হোসেন ইমন অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে সফল হতে পারেননি, আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কিছু সময় ভালো খেললেও তাড়াতাড়ি আউট হয়েছে। শেষ ম্যাচে ভালো করার জন্য বাংলাদেশকে টপ অর্ডার আর স্পিনারদের ফর্মে ফিরতেই হবে।