ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশই হলো বাংলাদেশ
আরেকটি একতরফা ম্যাচ। আরেকটি বড় হার। তিন ম্যাচে এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা মেনে নিয়ে টি- টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ। সিরিজের ফল ভারত ৩, বাংলাদেশ ০।
হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচ আসলে ভারত জিতে নিয়েছিল তাদের ব্যাটিংয়েই। ২০ ওভারে ভারত রেকর্ড ২৯৭ রান তুলে। টি- টোয়েন্টিতে তিনশ পেরুনো ইনিংসও আছে। তবে টেস্ট খেলড়ে– কোনো দেশের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক টি- টোয়েন্টিতে এটাই সর্বোচ্চ রান। বলা যায় সিরিজের শেষ ম্যাচে ভারত রানোৎসব করে জিতলো ১৩৩ রানে। ভারতের ২৯৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ থেমে গেল ১৬৪ রানে।
একটু জানিয়ে দেই ভারত তাদের শুরুর ১০ ওভারে তুলেছিল ১ উইকেটে ১৫২ রান। বাংলাদেশ পুরো ২০ ওভার খেলে করলো ৭ উইকেটে ১৬৪ রান। এই ব্যবধানই জানান দিচ্ছে লড়াইয়ের কোনো ছিটেফোঁটাও ছিল না এই ম্যাচে।
গোটা ম্যাচে ভারত যেন বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে ছেলেখেলা করলো। ৪০ বলে সেঞ্চুরি করলেন ওপেনার স্যাঞ্জু স্যামসন। ৩৫ বলে ৭৫ করলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। এই দুজনে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রেকর্ড ১৭৬ রান জুড়লেন। স্যামসন ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিং তান্ডবের পর রিয়ান পরাগ ও হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। পরাগ মাত্র ১৩ বলে খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস। আর পান্ডিয়া মাত্র ১৮ বলে ৪৭ রান করেন। সব মিলিয়ে ভারতীয় ইনিংসে ছক্কা হলো ২২টি। বাউন্ডারি ছিল ২৫টি।
স্যাঞ্জু স্যামসন সবচেয়ে বেশি রাগ ঝাড়েন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের বোলিংয়ে। রিশাদের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম বলটা ডট খেলেন তিনি। পরের পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা। রিশাদের সেই ওভার থেকে খরচা হলো ৩০ রান। ২ ওভারে ৪৬ রান ব্যয় করার পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাকে আর বোলিংয়েই ডাকেননি।
জয়ের জন্য ২৯৮ রানের প্রায় অসম্ভব টার্গেটের পেছনে ছুটতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম বলেই উইকেট হারায়। পারভেজ ইমন শূন্য রানে বিদায় নেন। বাংলাদেশ ইনিংসে লিটন দাস ২৫ বলে ৪২ রান করেন। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের শেষ টি- টোয়েন্টি খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৯ বলে ৮ রানে ফিরেন।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ী ম্যাচ মনে থাকবে ভারতের রানোৎসবের ম্যাচ হিসেবে।