লঙ্কানদের ডুবিয়ে সেমিফাইনালে এক পা কিউইদের
সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে লঙ্কানদের হারাতেই হতো কিউইদের। অন্যদিকে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় দরকার ছিল শ্রীলঙ্কারও। এমন সমীকরণের ম্যাচ শেষ হাসিটা হাসল কেইন উইলিয়ামসনের দল। দারুণ বোলিংয়ে ১৭১ রানে শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দেয়ার পর ৫ উইকেট আর ১৬০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার বড় রানের আশা মূলত শেষ হয়ে যায় প্রথম দশ ওভারেই। ওপেনার কুশল পেরেরা ২৮ বলে ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেও অন্য পাশে তার সঙ্গীরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে কুশল যখন ফিরছেন, শ্রীলঙ্কার ততক্ষণে অর্ধেক ব্যাটিং শেষ।
ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি আর লকি ফার্গুসনদের গতি এবং মিচেল স্যান্টনার আর রাচিন রবীন্দ্রর ঘূর্ণিতে ১২৮ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। তবে লেজের দুই ব্যাটার মহেশ থিকশানা আর দিলশান মাদুশঙ্কার ৪৩ রানের দশম উইকেট জুটিতে শেষ পর্যন্ত ভদ্রস্থ পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।
তবে ১৭১ রানের পুঁজি ভদ্রস্থ হলেও যে মোটেও লড়াকু নয়, তা কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররা। দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে আর রাচিন রবীন্দ্র পাওয়ার প্লে’তেই তুলে ফেলেন ৭৩ রান। ১৩ এবং ১৪তম ওভারে যথাক্রমে কনওয়ে (৪৫) এবং রবীন্দ্র (৪২) ফিরলেও কিউইদের জয়ের ভিত ততক্ষণে রচিত হয়ে গেছে। শেষদিকে ড্যারিল মিচেলের ৪৩ রানের ইনিংসে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
কিউইদের এই জয়ে পাকিস্তানের সেমির পথ বন্ধুর হয়ে গেল। নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বিশাল ব্যবধানে হারাতে পারলেই কেবল সেমির টিকিট কাটতে পারবে বাবর আজমের দল।
পাকিস্তানের সেমি ফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ এমন-আগে ব্যাট করলে ইংল্যান্ডকে হারাতে হবে ২৮৭ রানে। আগে বোলিং করলে ইংল্যান্ডকে ১৫০ রানে আটকে সেই রান টপকাতে হবে ২২ বলে। অসম্ভব এক লক্ষ্য!