বাংলাদেশের কোচের পদে আগেও দরখাস্ত ঠুকেছিলেন সিমন্স

বাংলাদেশের কোচের পদে আগেও দরখাস্ত ঠুকেছিলেন সিমন্স

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আউট। ফিল সিমন্স ইন।

বাংলাদেশের নতুন হেড কোচ হিসেবে আপাতত সাড়ে পাঁচ মাসের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কোচ ফিল সিমন্স। ডানহাতি এই অলরাউন্ডার লম্বা সময় ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় ছিলেন। খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে খেলেছেন। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ হিসেবেও বিশ্বকাপে ছিলেন। ২০১৬ সালের টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল তার কোচিংয়ে। দু’দফায় তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ছিলেন।
বাংলাদেশে এর আগেও কোচ হিসেবে চাকরির দরখাস্ত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে দফায় তার দরখাস্ত মঞ্জুর করেনি বিসিবি। তখন সময়টা ছিল নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডের। তবে ফারুক আহমেদের বোর্ডে বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে নতুন ক্যারিয়ার শুরু হচ্ছে ফিল সিমন্সের।

নুতন কোচের নিয়োগ প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ জানাচ্ছিলেন, ‘ফিল সিমন্স দু’দফায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ছিলেন। আয়ারল্যান্ড এবং জিম্বাবুয়ের কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কোচ হিসেবে তার ট্র্যাক রেকর্ড খুবই ভালো। অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও কোচ হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। সবশেষ পাকিস্তানের একটি দলের হয়ে তিনি কাজ করছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেটেও একটি দলের কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। মাত্রই সেই টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন। তার কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। তবে তাকে আমরা অর্ন্তবর্তীকালিন সময়ের জন্য নিয়োগ দিয়েছি। লম্বা সময়ের জন্য না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্তই তার সঙ্গে আমাদের এই চুক্তি থাকছে।’

২০০২ সালে ফিল সিমন্স তার খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসরে যান। ইনজুরির জন্য তাকে আগেভাগে মাঠের ক্রিকেট থেকে সরে যেতে হয়। তখনই সিদ্ধান্ত নেন কোচিং পেশায় নিয়োজিত হয়ে তিনি ক্রিকেট মাঠে থাকবেন। তার কোচিং ক্যারিয়ার প্রথমে শুরু হয় জিম্বাবুয়ের হারাতে একটি ক্রিকেট একাডেমিতে। পরে তিনি জিম্বাবুয়ের হেড কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পান। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কোচ হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের কোচ হিসেবে তিনি ২২৪ টি ওয়ানডেতে দায়িত্ব পালন করেন।

বিশ্বের আর কোনো কোচ এত বেশি আর্ন্তজাতিক ম্যাচে হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেননি। ২০১৫ সালের মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের কোচ হিসেবে যোগ দেন সিমন্স। তার কোচিংয়ে ২০১৬ সালে টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখন পর্যন্ত আর্ন্তজাতিক টুর্নামেন্টে সেটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বশেষ সাফল্য। ২০১৭ সালে আফগানিস্তানের হেড কোচের চাকরিতে যোগ দেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। ২০১৯ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয় দফায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ হন তিনি। ২০২২ সালের টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন। তারপর থেকে ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেটে কোচের দায়িত্ব নিয়ে সময় কাটছিল তার। আর ২০২৪ এর ১৫ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের হেড কোচ হিসেবে নতুন পথচলা শুরু হলো ফিল সিমন্সের।

সম্পর্কিত খবর