সাফের পর্দা উঠছে আজ

সাফের পর্দা উঠছে আজ

আজ কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সপ্তম সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা উঠতে চলেছে। এই টুর্নামেন্টে সাত দক্ষিণ এশিয়ান দেশ লড়বে সাফ শিরোপার জন্য। ভারত-পাকিস্তান মহারণ দিয়ে আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে এই লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে। 

ভারত এই ম্যাচের ফেভারিট বটে। তবে পাক বংশোদ্ভূত তিন খেলোয়াড় মারিয়া খান, রুমাইসা খান ও ইসরা খানের অন্তর্ভুক্তি পাকিস্তানকেও শক্তিশালী করে তুলেছে। প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান জানিয়ে, ভারতীয় কোচ সন্তোষ কাশ্যপ এবং পাকিস্তানি কোচ আদিল রিজকি দুজনেই রোমাঞ্চকর এক উদ্বোধনী ম্যাচের আশা প্রকাশ করেছেন।

তবে গ্রুপ এ-তে এবং পুরো চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। দুই বছর আগে এই ভেন্যুতেই তারা উপমহাদেশের শক্তিধর ভারত এবং নেপালকে হারিয়ে তাদের প্রথম শিরোপা জিতেছিল।

২০১০ সালে চ্যাম্পিয়নশিপের সূচনা হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ শুধুমাত্র ২০১২ আসরে নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। পিটার বাটলারের অধীনে প্রায় তিন মাসের প্রস্তুতি গ্রহণের পর দুইবারের ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ এবারও শিরোপার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গতকাল কাঠমাণ্ডুতে প্রাক-টুর্নামেন্ট সম্মেলনে, অংশগ্রহণকারী সমস্ত দল তাদের লক্ষ্য ঘোষণা করেছে এবং প্রতিটি ম্যাচে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন মনে করেন, সব খেলোয়াড় এবং সব দলই এই টুর্নামেন্ট নিয়ে উচ্ছ্বসিত।

সাবিনা বলেন, ‘আমি মনে করি সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য সবাই রোমাঞ্চিত এবং প্রতিটি দল ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। আমরা কয়েক মাস ধরে এই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হয়েছি, আমাদের দল টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত।’

পাকিস্তানের অধিনায়ক মারিয়ার কাছে এই টুর্নামেন্টটাই ‘বিশ্বকাপ’, ’আমি খুবই উচ্ছ্বসিত এবং আমরা প্রস্তুত। এটি আমাদের ওয়ার্ল্ড কাপ এবং আমরা এর জন্য মুখিয়ে আছি।’

টুর্নামেন্টের ফেভারিট ভারতের কোচ কাশ্যপ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে বাংলাদেশ, নেপাল এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দলগুলির প্রশংসা করেছেন, ‘সব দলই মানের দিক থেকে খুব কাছাকাছি এবং তারা কঠোর লড়াই করে। পুরুষ বা নারী দল যাই হোক, আমরা যদি ভাবি যে আমরা ফেভারিট এবং সহজেই জিতব, সেটি ভুল হবে। আমাদের প্রতিটি মুহূর্তের জন্য লড়াই করতে হবে।’

‘আমি বাংলাদেশ এবং নেপালের খেলা দেখেছি, এবং আমি আশা করি প্রতিটি ম্যাচ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তাই ম্যাচের দিন কী ঘটবে তা অনুমান করা কঠিন। খেলোয়াড়রা চাপের মধ্যে কেমন পারফর্ম করে এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।’

সম্পর্কিত খবর