সাকিব ইস্যুতে আন্দোলন আরও জোরদারের হুঁশিয়ারি

সাকিব ইস্যুতে আন্দোলন আরও জোরদারের হুঁশিয়ারি

সাকিব আল হাসান দেশে আসবেন কি না, এ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে মিরপুরে সাকিবের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে ‘মিরপুরের ছাত্র-জনতা’। এরপর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) একটি স্মারকলিপি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। 

মিরপুরে জড়ো হয়ে ‘আমার ভাই কবরে, সাকিব কেন বাহিরে’, ‘টরন্টো নাকি মিরপুর, মিরপুর মিরপুর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে তাদেরই প্রতিনিধি আল মাসনূন জানান, সাকিবকে মিরপুর টেস্টের দল থেকে বাদ না দিলে আরও জোরদার আন্দোলন, ‘মিরপুর ব্লকেড’ করা হবে।

তাদের পক্ষ থেকে বিসিবিকে দেওয়া স্মারকলিপির শুরুতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে লেখা হয়েছে, ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকল জায়গায় যে পরিবর্তন হয়েছে তার অংশ আপনি নিজে। যদি এই গণঅভ্যুত্থান না হতো, তাহলে আপনি বিসিবি প্রধান হতেন না। তাই আপনার প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ফ্যাসিবাদ নির্মূল করে নিজের প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা। আপনি কোনোভাবেই তাই ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন করতে পারেন না। আপনি পারেন না বাংলাদেশের জার্সি একজন ভোটচোর এমপির গায়ে জড়িয়ে দিতে। এই কাজের মাধ্যমে আপনি কেবলমাত্র পতিত স্বৈরাচারের মন্ত্রী ও সাবেক বিসিবি প্রধান পাপনের প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে যাচ্ছেন।’

এতে আরও বলা হয়, ‘পাপন (বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন) কথা দিয়েছিলো যে সে সাকিবকে মিরপুরের মাটিতে বিদায় দেবে। আপনিও ঠিক একই কাজটা করতে যাচ্ছেন । সাকিবকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি একজন ভোটচোর, হাসিনার দালাল, দুর্নীতিবাজ, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির অপরাধী, জুয়ার দালালের শরীরে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির জার্সি তুলে দিচ্ছেন। আপনি পারেন না আমাদের এই মিরপুরে শহিদ হওয়া ভাইয়েদের লাশের উপর সাকিবকে ব্যাট বল চালাতে দিতে। অন্যথায় আপনি নিজেই আরেকজন পাপন হয়ে উঠবেন।’

এরপরই কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় স্মারকলিপিতে, ‘সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া এবং সাকিবের অপকর্মের ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে আমরা আমাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীকে আরও কঠোর করে তুলব। খেলার দিন মিরপুর এলাকায় কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হব। এর ফলে যদি কোনো অরাজকতা সৃষ্টি হয়, বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশগুলো খেলতে না আসে কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট আইসিসির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্য যেকোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে এর সকল দায়ভার বিসিবি প্রধান হিসেবে আপনাকে নিতে হবে।’

সম্পর্কিত খবর