ব্যাটিং শেখাল দক্ষিণ আফ্রিকা, চেয়ে দেখল বাংলাদেশ
যা পরিস্থিতিতে তাতে মিরপুর টেস্ট এখন একটা দলই জিততে পারে- দক্ষিণ আফ্রিকা।
আর বাংলাদেশ? স্বাগতিদের আপাতত একটাই কাজ, ম্যাচ বাঁচানোর প্রাথমিক চিন্তায় মনোযোগ দেওয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস অবশেষে থামলো ৩০৮ রানে। ২০২ রানের লিড পেল তারা। এই রান টপকে বাংলাদেশ চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেবে- এই কথা বলাটা অনেক সহজ, তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা!
মোটেও অবাক হবেন না যদি এই ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ব্যবধানেও জিতে নেয়! সেই সম্ভাবনা তৈরি করেছে তারা এই টেস্টে। বোলিং বান্ধব উইকেটে কেমন কায়দায় ব্যাট করতে হয়, তার দারুণ একটা প্রমাণ রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকা মিরপুওে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংয়ে।
স্পিন সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশের ১০৬ রানের জবাবে আগের দিন অতিথি দলের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় তারা। ১০৮ রান তুলতেই পড়ল ৬ উইকেট। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের আশেপাশেই থেমে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসও।
কিন্তু সেই ভাবনা ভুল হলো। বড় ভুল। সপ্তম উইকেট জুটিতে ভেরেইনা ও মুলডার যোগ করলেন ১১৯ রান। তাও আবার মাত্র ২০০ বলে। দলকে কিভাবে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে হয়, দুর্দান্তভাবে সেই নজির গড়লেন এই দুই ব্যাটার। ভেরেইনা মাত্র ১৩৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন। স্পিন সহায়ক উইকেটে কোন কৌশলে রান তুলতে হয়, হাতে কলমে তাও শিখিয়ে দিলেন ভেরেইনা। ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দারুণভাবে তাকে সহায়তা দেন অলরাউন্ডার মুলডার। হাফসেঞ্চুরির আনন্দে ভাসে তার ব্যাট।
এই দুই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ম্যাচের সব অঙ্ক বদলে দিলেন। ভালো বলে ডিফেন্স করলেন। বাজে বলে শটস খেললেন। সুইপ খেলে স্কোরবোর্ড সচল রাখলেন। সফটহ্যান্ড ব্যাটে স্পিন সামাল দিলেন। পরিস্থিতির সঙ্গে কিভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে খাপ খাইয়ে নিতে হয়;সেই উদাহরণও তৈরি করলেন তারা এই ইনিংসে।
বাংলাদেশ চেয়ে দেখল তাদের ব্যাটিং। এখন দ্বিতীয় ইনিংসে সেই শিক্ষা যদি কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ তাহলেই এই ম্যাচের গল্প অন্যকিছু হতে পারে। নইলে দক্ষিণ আফ্রিকা ১, বাংলাদেশ ০; চট্টগ্রাম টেস্টের আগে সিরিজের শিরোনাম এই হতে চলেছে!