মেহেদি-জাকেরের হাফসেঞ্চুরি, শঙ্কা কাটিয়ে সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ
সকালে শঙ্কা ছিল। দুপুরে তৈরি হলো সম্ভাবনা।
রাবাদার এক ওভারে আগের দিনের দুই ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিক রহিম আউট হতেই প্রেসবক্স, গ্যালারি এবং বাংলাদেশ দলের ডাগআউট সর্বত্রই তখন একটা আশঙ্কা- ইনিংস হার এড়ানো গেল না তাহলে!
সেই শঙ্কা দুপুরে উবে গেল। বাংলাদেশ লাঞ্চের পরপরই ম্যাচে লিডও নিয়ে ফেলল। নাটকীয়ভাবে এই ঘুরে দাড়ানোর কারিগর দুজন- মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক। দুজনে মিলে সপ্তম উইকেট জুটিতে একশ’র বেশি রান যোগ করে ম্যাচে বাংলাদেশকে শঙ্কার গর্ত থেকে টেনে তুলে সম্ভাবনার পথে নিয়ে এলেন। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করলেন। টেস্টে মেহেদি হাসান মিরাজের জন্য হাফসেঞ্চুরি নতুন কিছু নয়। ক্যারিয়ারের নবম হাফসেঞ্চুরি এটি তার।
অন্যদিকে জাকের আলী তার টেস্ট ক্যারিয়ার শুরুই করলেন হাফসেঞ্চুরির আনন্দ দিয়ে। প্রথম ইনিংসে বাজে শট খেলে আউট হয়েছিলেন জাকের। নিজের অভিষেক টেস্টকে স্মরনীয় করে রাখার উপলক্ষ্যটা দারুণভাবে কাজে লাগালেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
লাঞ্চের খানিকবাদে এই রিপোর্ট লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ২৩৪ রান। ম্যাচে তখন বাংলাদেশের লিড ৩২ রানের। সপ্তম উইকেটে এই দুজনের ব্যাটিং জানান দিল মিরপুরের এই উইকেটে খেলতে জানলে টিকে থাকা সম্ভব। এবং আরো সম্ভব রান করা।
সকালে শুরুর বোলিংই সামাল দিতে পারেননি জয়, মুশফিক ও লিটন। কাগিসো রাবাদার এক ওভারে জয় ও মুশফিক ফিরে যাবার পর মহারাজের স্পিনে কাটা পড়েন লিটন দাস। এই তিন উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ শিবিরে ইনিংস হারের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মেহেদি হাসান মিরাজ এবং জাকের আলী অনিক সপ্তম উইকেটে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন। রক্ষনের সঙ্গে আক্রমণের মিশেলে এই জুটির ব্যাটিং বাংলাদেশের সম্ভাবনা জাগালো এবং সেই সঙ্গে আফসোসও কিছুটা ছড়ালো-উইকেট যদি আরো কয়েকটা কম পড়তো! মুশফিক অথবা লিটন যদি সকালে লম্বা সময় ধরে টিকে থাকতে পারতেন?