মিরাজ আর বৃষ্টিতে ভর করে মিরপুর টেস্ট গেল চতুর্থ দিনে
দিনের শুরুটা অন্য কিছুর ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। বাংলাদেশের মাথার ওপর ছিল ১০১ রানের বোঝা, তার ওপর দিনের দশ ওভার না পেরোতেই যদি ‘নেই’ হয়ে যায় তিন উইকেট, তখন ইনিংস হারের শঙ্কাটা আঁচ করা যায় ভালোভাবেই। তবে সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে লিড নিল বাংলাদেশ; ম্যাচটাও চলে গেল চতুর্থ দিনে।
১০১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আগের দিন হাসান মাহমুদ জানিয়েছিলেন, ৩ সেশন খেললে ২০০ রানের লিড খুব সম্ভব। তবে তার সে সম্ভাবনা উবে গেল প্রথম সেশনের শুরুর ১ ঘণ্টায়। শুরুতে মাহমুদুল হাসান জয়, এরপর মুশফিকুর রহিম ফিরলেন কাগিসো রাবাদার শিকার বনে। এরপর লিটন দাসও যখন ফিরলেন মহারাজের শিকার বনে, তখন মনে হচ্ছিল ইনিংস হার বুঝি সময়ের ব্যাপার মাত্র!
তবে সে শঙ্কাকে মিথ্যে প্রমাণ করেন মেহেদি হাসান মিরাজ আর জাকের আলি অনিক। দুজন মিলে সপ্তম উইকেটে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের এই উইকেট জুটির রেকর্ড। মিরাজ আর জাকের দুজনই তুলে নেন ফিফটি। আজকের দিনের হাইলাইটসের প্রথম অংশ এটা।
মহারাজের শিকার হয়ে এই জুটি ভাঙার কিছু পরেই নামে বৃষ্টি। ৮২ মিনিট বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল। তা শেষে খেলা মাঠে ফেরার পর ৩৮ ওভার হওয়ার কথা ছিল। তবে ৫ ওভার পরই দুই দল আবার সাজঘরে ফিরে গেছে। এবারের কারণ আলোকস্বল্পতা।
খেলা মাঠে ফিরলেও আলোর অভাব ছিল যথেষ্ট। যে কারণে পেসারদের ব্যবহার করতে পারছিল না দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮০ ওভার হয়ে গেলেও তাই পুরোনো বলেই খেলা চলছিল তখন।
মাঠে ফিরে এসে ৫ ওভারের সবকটাই স্পিনারদের দিয়ে করাতে হয়েছে অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে। ওভারগুলো করেছেন তিনি নিজে আর কেশভ মহারাজ মিলে, একটা মেইডেন দিলেও ওই পাঁচ ওভার থেকে বাংলাদেশ রান তুলেছে ১৬টি।
এদিকে আম্পায়ারদের হাতে একটু পরপরই লাইট মিটার উঠে আসছিল। তার কারণ ছিল মাঠে আলোর অভাব। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এরপর দুই ব্যাটার মেহেদি হাসান মিরাজ আর নাইম হাসানের সঙ্গে কথাও বলেছেন, যদি স্পিনারদের সরিয়ে পেসার আনা যায়।
তবে এরপরই এসেছে সে ঘোষণা। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার। এই বিরতি শেষে খেলা আর মাঠে ফেরেনি। ফলে মিরপুর টেস্ট চলে যায় চতুর্থ দিনে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে উঠেছে ২৮৩ রান, হাতে আছে তিনটি উইকেট। স্বাগতিকদের লিড ৮১ রানের।