নতুন বলেই শেষ বাংলাদেশের প্রতিরোধ, দক্ষিণ আফ্রিকার বড় জয়

নতুন বলেই শেষ বাংলাদেশের প্রতিরোধ, দক্ষিণ আফ্রিকার বড় জয়

নতুন বলের জন্য অপেক্ষায় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সেই সঙ্গে অপেক্ষায় ছিল দু’প্রান্ত থেকে সেই বলে পেসারদের বোলিংয়ের। সেই কারণে আগের দিন বিকেলে নতুন বল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও তারা সেই সুবিধা নেয়নি। কারণ তখন আলোর স্বল্পতার জন্য শর্ত হিসেবে পেস বোলারদের বোলিংয়ের সুযোগ ছিল না। চতুর্থদিন সকালে নতুন বল এবং পেস বোলিং, যথেষ্ট আলো- সবকিছুই পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর তাতেই তাদের মনোবাসনা পূর্ণ।

আগেরদিনের ৭ উইকেটে ২৮৩ রান নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দিতে তাদের সময় লাগলো মাত্র ২৯ বল। এই সামান্য সময়ে বাংলাদেশ যোগ করলো মাত্র ২৪ রান। ব্যক্তিগত ক্ষতি আরেকটা হলো মেহেদি হাসান মিরাজের। সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন তিনি। সঙ্গীহারা হয়ে পড়ার চিন্তায় দ্রুতগতিতে সেঞ্চুরির জন্য ঝুঁকি নিয়ে ব্যাট চালিয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলেন মেহেদি। তখন তার রান ৯৭, দলের ৩০৮। 

বিয়োগফল জানাল এই ম্যাচ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন মাত্র ১০৬ রান। মামুলি এই রান তুলতে দক্ষিণ আফ্রিকা তিন উইকেট হারালেও ম্যাচ জিতলে ৭ উইকেটের দাপটেই। মিরপুরের উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য টার্গেটের স্বাস্থ্য আরো বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। চতুর্থদিনের সকালে সেটাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। 

 সকালের খেলা শুরুর আগে সতীর্থ ধারাভাষ্যকার আতহার আলীকে প্রশ্ন করছিলেন, এই ম্যাচে এখন বাংলাদেশের ব্যাটিং কৌশল কি হওয়া উচিত? আতহারের চটজলদি উত্তর-‘ প্রথম শর্ত হলো উইকেট হারানো যাবে না।’ কিন্তু বাংলাদেশ দল সকালে ব্যাটিংয়ে নেমেই যে আতহারের দেওয়া সেই শর্ত ভাঙল সবার আগে।

 নতুন বলে একপ্রান্তে কাগিসো রাবাদা অন্যপ্রান্তে মুল্ডার এই দুই ডানহাতি পেসারের সামনে ব্যাটসম্যানরা পুরোদুস্তর অসহায়। রাবাদা দিনের তৃতীয় বলেই সাফল্য পান। অন্যপ্রান্ত থেকে তাইজুলকে ফেরান মুল্ডার। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে আসেন হাসান মাহমুদ। মেহেদি হাসান মিরাজ তখন নব্বইয়ের ঘরে। সঙ্গী হারা হয়ে সেঞ্চুরি যেন মিস না হয় সেজন্য খানিকটা অস্থিও হয়ে পড়েন মেহেদি। সেই দুঃশ্চিন্তা ঝাড়তে শট খেলার জন্য যে ভঙ্গিতে ব্যাট চালান তাতে রান হয় না, উইকেট যায়। হলোও তাই!

১০৬ রানের সামান্য টার্গেটের পথে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা সকালের বাকিটা সময় যা করলো তার নাম ব্যাটিং আনুষ্ঠানিকতা। 

এই ম্যাচ চতুর্থদিনের সকালে এসে হারলেও বাংলাদেশ মুলত হেরেছে আরো অনেক আগেই; সেই প্রথমদিনের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। দল যেদিন মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায়, সেদিন!

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ১০৬ ও ৩০৭

দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০৮ ও ১০৬/৩

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী

সম্পর্কিত খবর