সেঞ্চুরি নয়, দলকে নিয়েই ভাবছিলেন মিরাজ
শেষ কয়েক ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজ হয়ে গেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম। দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও শেষমেশ তাকে থামতে হয়েছে সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে থাকতে।
সেঞ্চুরি মিস হয়ে গেলে তা পোড়ায় সবাইকেই। তবে মিরাজকে তার চেয়ে বেশি পোড়াচ্ছে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারার হতাশা।
গতকাল সন্ধ্যায় স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ এসে জানিয়ে গিয়েছিলেন, তার বিশ্বাস ২০০ রানের লিড দেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশ তখন ৮১ রানের লিড নিয়ে দাঁড়িয়ে।
আজ সকালে শেষ তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ যোগ করতে পারল আর মাত্র ২৪ রান। কাগিসো রাবাদা আর ভিয়ান মুলডারের সামনে নতুন বল সামলাতেই পারেনি স্বাগতিকরা। মিরাজ নিজে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন ৯৭ রানে। দলের লিডটা গিয়ে ঠেকে মাত্র ১০৫ রানে।
মিরাজ হতাশ মূলত এ কারণেই। তিনি বলেন, ‘সেঞ্চুরি মিস হয়ে গেলে একটা ব্যাটারের খারাপ লাগে, অবশ্যই খারাপ লাগছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সেঞ্চুরি করার চেয়ে যে প্ল্যান নিয়ে খেলছিলাম, সেটা এক্সিকিউট করতে পারলে ভালো লাগত। সেঞ্চুরি নিয়ে চিন্তা করিনি। চিন্তা করছিলাম দলকে কোন অবস্থানে নিয়ে যাওয়া যায়।’
তিনি গতকাল যখন ক্রিজে এসেছেন, তখন দল কাঁপছে ১০৬ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে। সেখান থেকে দলকে মিরাজ নিয়ে গেছেন ৩০৭ রানে। এর আগেও ২৬ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসেছিল দল, এমন আরও অনেক পরিস্থিতি থেকে দলকে ভদ্রস্থ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছিলেন মিরাজ।
তিনি জানান, এমন পরিস্থিতিতে তিনি উপভোগ করেন বেশ। তার ভাষ্য, ‘আমি সব সময় কঠিন পরিস্থিতি উপভোগ করার চেষ্টা করি। বেশি কিছু চিন্তা করি না। চিন্তা করার চেষ্টা করি, আমার জন্য এটা সুযোগ। ভালো করলে তো হিরো হওয়ার সুযোগ থাকে।’
চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তার দখলে। এই সব রানই এসেছে ৬ থেকে ৮ নম্বরে ব্যাট করে। আরও ওপরে ব্যাট করার ইচ্ছে আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মিরাজ তা ছেড়ে দেন টিম ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছের ওপর।
তিনি বলেন, ‘ওপরের দিকে ব্যাট করতে পারি কি না, এটা আসলে ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। যারা দল নির্বাচন করবে, তারা দলের ভালোর কন্য সিদ্ধান্ত নেবে।’