‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা রান করতে পারিনি’

‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা রান করতে পারিনি’

বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হেরেছে ৭ উইকেটে। তবে পরিষ্কার করে বললে দলের হাত থেকে ম্যাচটা বেরিয়ে গিয়েছিল প্রথম দিনেই। ১০৬ রানে অলআউট হওয়ার পরই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ।

এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও টপ অর্ডার মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রথম পাঁচ উইকেট চলে যায় ১০৬ রান তুলতে। এমন পরিস্থিতি থেকে আর যাই হোক, ম্যাচ জেতা যায় না। বাংলাদেশ জিততে পারেওনি।

ব্যাটিংয়ে দলের ব্যর্থতার বিষয়টা মেনে নিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে দলের এই ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ কী? সে বিষয়ে মিরাজও আছেন অন্ধকারেই। সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারলেন না টপ অর্ডারের এমন মুখ থুবড়ে পড়ার। তার ভাষ্য, ‘ডিসিশন মেকিংটা গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো আমাদের কিছু জায়গায় অভাব আছে, এ কারণে হয়তো ব্যাটিংয়ে ফল্ট করছি।’

তবে টপ অর্ডারের রান যে গুরুত্বপূর্ণ, সে জানা কথাটাই আরও একবার শোনালেন তিনি। বললেন, ‘আমার কাছে যা মনে হয় যে, উপরের দিকে জুটি গুরুত্বপূর্ণ, টপ অর্ডার থেকে ভালো শুরু পাওয়া যেতে পারত, তাহলে পরের ব্যাটারদের জন্য সহজ হতো। পাকিস্তানে প্রথম টেস্টে টপ অর্ডার, মানে তিন চার নম্বর থেকে শুরু করে ভালো একটা স্টার্ট দিয়েছিল। ওপেনাররাও একটা ভালো শুরু দিয়েছে, তারাও ভালো খেলেছে। পরে যারা ছিল তাদের কাজটা সহজ হয়ে যায়।’

টেস্টে নতুন বল সামলানোর কাজটা বেশ ঝক্কির। এই দায়িত্বটা বর্তায় টপ অর্ডারের ওপর। তবে বেশিরভাগ সময়ই সে দায়িত্ব পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা। তাতে খানিকটা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে যান পরের ব্যাটাররাও, জানালেন মিরাজ।

তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে আপনি দেখেন যে পাঁচ ছয়ের ব্যাটার যদি নতুন বল খেলতে হয়, তাহলে একটু কঠিন হয়ে যায়। অবশ্যই সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। যে টপ অর্ডাররা কীভাবে সফল হতে পারে, বেশিরভাগ টেস্ট ক্রিকেটে যেন সফল হতে পারি, সেজন্য আমরা কথা বলছি। আশা করছি সামনে যে টেস্টগুলো আছে, আমরা বুঝতে পারব যে আমাদের কোন জায়গায় অভাবগুলো আছে।’

সম্পর্কিত খবর