সিরিজে এগিয়ে গিয়ে যা বললেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক

সিরিজে এগিয়ে গিয়ে যা বললেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক

সিরিজ শুরুর আগে দুই অধিনায়কই বাংলাদেশকে এগিয়ে রেখেছিলেন। প্রথম টেস্টে সেখানে বাজিমাত করল দক্ষিণ আফ্রিকা। যা আবার ২০১৪ সালের পর উপমহাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম জয়।

তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। কথা বলেছেন এই জয়ের মাহাত্ম্য, নিজেদের পারফর্ম্যান্স নিয়ে। এখানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও।

এই সংবাদ সম্মেলনের চুম্বকাংশ স্পোর্টস বাংলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো–

উপমহাদেশে টেস্ট জয়
আমার মনে হয় এটা বিশেষ কিছু। এত অল্পবয়সী এবং অনভিজ্ঞ দলের জন্য এখানে এসে জয় পাওয়া আমাদের ড্রেসিং রুমে যে পরিবেশ সৃষ্টি করে, তা দারুণ। এটা আমাদের কিছুটা আত্মবিশ্বাস দেবে যে আমরা আপাতদৃষ্টিতে পরিস্থিতিতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। আমাদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য বেশ একটা আত্মবিশ্বাস দেবে এই জয়।

দশ বছর পর জয়
আমি মনে করি এই জয়টাকে হেলায় দেখার মতো কিছু নেই। আমি নিজেও কয়েক বছর ধরে খেলছি, আমিও উপমহাদেশে কখনও জিতিনি। তাই এটা আমাদের জন্য বিশেষ একটা মুহূর্ত। সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো দল হিসেবে আমাদের আত্মবিশ্বাস অর্জন। এটা আমাদের দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে, যেন আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি, যা একটা সত্যিকারের ভালো দল গড়ে তোলে। আমরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষা করছি এখন।

বিশেষ পারফরম্যান্স
এটা দারুণ। কাগিসো দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জন্য একজন সুপারস্টার। তার ৩০০ উইকেট পাওয়ার মতো পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে সে একজন বিরল প্রতিভা। আমরা সত্যিই ভাগ্যবান যে সে আমাদের দলে আছে এবং ভালো করছে।

কাইলের ক্ষেত্রে আমি মনে করি এটা তার জন্য একটা বিশেষ মুহূর্ত। সে কিছু সময়ের জন্য দলের বাইরে ছিল। ম্যানেজমেন্ট তার প্রতি আস্থা দেখিয়েছে। এখন সে স্বস্তিবোধ করছে। সে স্পিন ভালো খেলে। সাবকন্টিনেন্টে তার প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি, এটা একটা অসাধারণ অর্জন।

অনুভূতি–
এটা আমাদের জন্য একটা সুন্দর অনুভূতি। তবে একটা ভালো দল তৈরি করার জন্য নিয়মিত এমন পারফরম্যান্স করতে হবে এবং তা বজায় রাখতে হবে। এটা আমাদের পরবর্তী টেস্টের জন্য উজ্জীবিত করবে। তবে এই মুহূর্তে, এটা আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত।

আইপিএলের অবদান
নিঃসন্দেহে এটা আমাদের সাহায্য করেছে। কারণ আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে শিখতে। এবং আইপিএল একটা দীর্ঘ টুর্নামেন্ট, প্রায় ২ মাসের। আমি ভাগ্যক্রমে তিনবার আইপিএল খেলেছি। মোট ৬ মাসের ব্যাটিং অভিজ্ঞতা আছে এই পরিস্থিতিতে। এটা আমাকে স্পিন খেলায় উন্নতি করতে সাহায্য করেছে।

স্পিন ও পেসারদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা
ব্যাটিংয়ের দিক থেকে স্পিন মোকাবেলা করতে হলে, আমি মনে করি ব্যাটারদের স্বাধীনতা দিতে হবে, যাতে তারা নিজস্ব ঢঙে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে। এটাই মূল আলোচনা ছিল। নিজেদের শক্তির উপর ভরসা করে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া। এবং দেখা যাক তা কেমন ফল নিয়ে আসে।
আপনি কাইলের দিকে তাকান, সে ভালোভাবে সুইপ করেছে। এটা দেখতে ভালো লাগে যে ছেলেরা তাদের শক্তির উপর বিশ্বাস রেখেছে।
আর পিছনে তাকালে, এখানে মাঝেমধ্যে যে পরিমাণ সিম মুভমেন্ট এবং অপ্রত্যাশিত বাউন্স ছিল, হয়তো একটা অতিরিক্ত পেসার থাকা ভালো হতো। আমি মনে করি দুই দলই এতে একমত হবে।

প্রতিপক্ষ প্রসঙ্গে–
মেহেদী অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। শতকের যোগ্য ছিল। তারা আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল; আমাদের সত্যিই অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর