প্রোটিয়াদের সহজে জিততে দিল না আফগানিস্তান
লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। ২৪৫ তো এখন মামুলি লক্ষ্যই! তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক অতীত মাথায় রাখলে এ লক্ষ্যটাকেও রোমাঞ্চকর ঠেকার কথা আপনার। এই একই লক্ষ্য নিয়ে যে নেদারল্যান্ডসের কাছে এবারের বিশ্বকাপে হেরেছিল প্রোটিয়ারা! আজ টেম্বা বাভুমার দল জিতেছে বটে, তবে সেটাকেও খুব স্বাচ্ছন্দ্যে এসেছে বলার জো নেই। ২৪৫ রান তুলতে যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলতে হয়েছে ৪৮তম ওভার পর্যন্ত, খোয়াতে হয়েছে পাঁচ উইকেট।
শুরুতে ব্যাট করে আফগানিস্তান ১১৬ রান তুলতেই খুইয়ে বসেছিল ৬ উইকেট। সেখান থেকে আড়াইশো ছুঁইছুঁই পুঁজি পেয়েছে দলটা, তার কৃতিত্ব আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের। তার ৯৭ রানের ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তান পায় ২৪৪ রানের পুঁজি।
এ রান টপকাতে প্রোটিয়াদের খেলতে হবে ৪৮ ওভার পর্যন্ত, দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের প্রথম দশ ওভারে অন্তত তেমন মনে হচ্ছিল না। টেম্বা বাভুমা আর কুইন্টন ডি কক মিলে যে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট খোয়ায়নি দলটা। তুলেছিল ৫৭ রান। তবে পাওয়ারপ্লের পরেই খেলাটা বদলে যেতে থাকল একটু একটু করে। মুজিব উর রহমানের শিকার হয়ে বাভুমা বিদায় নিলেন দলীয় ৬৪ রানে, এর দুই রানের মাথায় ডি ককও বিদায় নিলে রানের চাকায় টান পড়ে দলটির।
তবে তিনে নামা রাসি ফন ডার ডাসেন বড় বিপর্যয় আসতে দেননি। শক্ত হাতে সামলেছেন প্রোটিয়াদের তরী। শুরুতে এইডেন মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়লেন। ৫০ রান ছুঁয়েই সে জুটি ভাঙল রশিদ খানের ছোবলে। এর কিছু পর হাইনরিখ ক্লাসেনকেও যখন রশিদ বিদায়ের পথ দেখালেন, তখনো প্রোটিয়ারা জয় থেকে ১০০র বেশি রান দূরে। তবে আস্কিং রেট ছিল ছয়ের নিচেই, তাই সমস্যা হয়নি খুব একটা।
ফন ডার ডাসেন শুরুতে মিলার আর পরে আন্দিলে ফিকোওয়ায়োকে সঙ্গে নিয়ে খানিকটা ধীরে হলেও সহজেই পাড়ি দেন লক্ষ্যটা। দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল নিশ্চিত ছিল আগে থেকেই। সেমিতে যাওয়ার আগে দলটা তুলে নিল আরও একটা জয়।