সাজিদ-নোমানে ভর করে সিরিজ পাকিস্তানের
লক্ষ্যটা ৩৬ রানের ছিল। শান মাসুদরা সে লক্ষ্যটা তাড়া করে ফেললেন মোটে ৩.১ ওভারেই, ৯ উইকেট হাতে রেখে। আর তাতে পাকিস্তান সিরিজটা নিজেদের করে নিল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর পরের দুটো ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে হাসল শেষ হাসি।
ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টে ৭ উইকেট খুইয়ে তুলেছিল ৮২৩ রান। পরের চার ইনিংসে ৪০ উইকেটেও মিলিয়েও সমান রান তুলতে পারেনি দলটা। কারণটা সাজিদ খান আর নোমান আলীর উপস্থিতি। দুজন প্রথম টেস্টে ছিলেন না, ছিলেন পরের দুই টেস্টে। দুজন মিলে পরের দুই টেস্টে ইংলিশদের ৪০ উইকেটের ৩৯টিই নিজেদের করে নিয়েছেন।
শুধু কি বল হাতে? পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে তো ব্যাট হাতেও ত্রাতা বনে গিয়েছিলেন দলের! দুজন মিলে তুলেছেন ৯০ রানের মতো, পাকিস্তানের লিড ছিল ৭৭ রানের; বুঝুন তাহলে তাদের ওই দুটো ইনিংসের গুরুত্ব! গুরুত্ব সাউদ শাকিলের ১৩৪ রানের ইনিংসেরও কম নয়, তার ওই ইনিংসই যে পাকিস্তানকে খাদের কিনার থেকে তুলে এনেছিল!
৭৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ইংল্যান্ড আগের দিনই ২৪ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বসেছিল। আজও হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস, জেমি স্মিথরা প্রতিরোধ গড়তে পারেননি আদৌ। সাজিদ আর নোমান মিলে আবারও হামলে পড়েন ইংলিশ ব্যাটারদের ওপর। এবার নেতৃত্বটা দেন নোমান, ৬ উইকেট তুলে নেন, ওপাশ থেকে সাজিদ শিকার করেন ৪ উইকেট। তাতে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১১২ রানে।
৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শুরু থেকেই মারমুখী ছিল। সাইম আইয়ুবের উইকেট খোয়ালেও শেষমেশ ১৯ বল খরচায় পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত জয়। প্রথম ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারের পরও সিরিজটা শেষমেশ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় স্বাগতিকরা।