চট্টগ্রামে ব্যাটিং পরীক্ষা, পাস করবে বাংলাদেশ?

চট্টগ্রামে ব্যাটিং পরীক্ষা, পাস করবে বাংলাদেশ?

ঢাকা টেস্টের স্কোরকার্ড দেখলে বাংলাদেশ দল প্রথম ইনিংসের চেহারা দেখে দুঃখ পাবে। মুলত এই টেস্টে হারের হিসেব যে ওখানেই লেখা হয়ে যায় বাংলাদেশের। টেস্ট ম্যাচের প্রথমদিনে মাত্র অর্ধেক বেলায় ১০৬ রানে দল গুটিয়ে যাওয়ার পরের অধ্যায় যে হারের জন্য কেবল পথ চেয়ে বসে থাকা! আর তাই দ্বিতীয় ইনিংসে তিনশ প্লাস স্কোর গড়েও ম্যাচে বড় হার বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্ট হারে স্বাগতিকরা চতুর্থদিনের সকালের সেশনেই ৭ উইকেটে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৭ রান তুললেও বাংলাদেশের শুরুর ছয় ব্যাটার যখন ফিরে যান তখন দলের স্কোর মাত্র ১১২ রান! সপ্তম উইকেট জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলীর অনিকের হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে ৩০৭ রান করে বাংলাদেশ দল। মেহেদি হাসান মিরাজ শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন আউট হন তখন তার রান ৯৭। জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা জাকের আলী অনিকের ব্যাট হাসে ৫৮ রানে। কিন্তু ম্যাচে বাংলাদেশ যে হাসতে পারলো না।

জয়ের হাসি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা এখন চট্টগ্রামে। ২৯ অক্টোবর (বুধবার) থেকে শুরু হতে যাওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে সেই হাসিটা আরো চওড়া করতে চায় তারা। সিরিজটা ২-০ তে জিতলে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেরর ফাইনালে খেলার সম্ভাবনার পথটা আরেকটু সবুজ হবে। আর বাংলাদেশের সামনে একটাই লক্ষ্য সিরিজ বাঁচাতে হলে চট্টগ্রামে টেস্টে জিততেই হবে।

টেস্টে বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত বিষয় হলো দলের ব্যাটিং। এক থেকে ছয় নম্বর-এই পজিশনের ব্যাটারা হঠাৎ যেন নেতিয়ে গেছেন। ভারতে দুই টেস্টের সিরিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও প্রথম টেস্টে দলের শীর্ষ ছয় ব্যাটারের একই বেহাল অবস্থা। বড় রান নেই তাদের ব্যাটে। অথচ টেস্ট ম্যাচে ভালো করার প্রাথমিক শর্তই হলো শুরুর ছয় ব্যাটারের মধ্য অন্তত দুই তিনজনকে বড় রান করতে হবে। তবেই না দলের ইনিংস বড় হবে। কিন্তু শুরুর এবং মিডলঅর্ডারের এই ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ইনিংস আটকে যাচ্ছে দুশো বা এর আশে পাশে। এত কম স্কোর নিয়ে টেস্টে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানো তো দুরের কথা, ম্যাচ বাঁচানোও যায় না।

চট্টগ্রাম টেস্টে কি সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে বাংলাদেশ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বুধবার থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট। এই টেস্ট দিয়েই সম্ভবত শেষ হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়ক অধ্যায়। অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শান্ত। বিসিবি এখনো তার এই সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো উত্তর দেয়নি। তবে যিনি অধিনায়কত্ব করতে রাজি নন, এমন কাউকে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করাও যৌক্তিক কিছু নয়। এই টেস্ট ম্যাচে শান্ত যদি বড় রান না পান তাহলে টেস্ট একাদশেই তার অর্ন্তভুক্তি নিয়ে পরে প্রশ্ন উঠবে।

সম্পর্কিত খবর