‘সর্বোচ্চ’ রান করেও আফসোস বাংলাদেশের
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ২৮২, তাও সবশেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আর শুরুতে ব্যাট করে সর্বোচ্চ ছিল ২৫৬। দুটোই দল টপকে গেছে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে। প্রথমবারের মতো ছুঁয়েছে তিনশো। ৫০ ওভার শেষে করেছে ৩০৬, ৮ উইকেট খুইয়ে।
তবে এত কিছুর পরেও একটা আফসোস থেকেই যাওয়ার কথা। উইকেট যেমন, আর বাংলাদেশ মাঝের ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং যেমন করেছে, তাতে ৩০০কে বড় কম বলেই মনে হওয়ার কথা। তার বড় কারণ অবশ্য ব্যাটিংই।
পুরো ইনিংস জুড়েই বাংলাদেশের ব্যাটাররা ভালো শুরু পেয়েছেন, জুটিও গড়ে উঠেছে। কিন্তু তা আর বড় কিছুতে রূপ দেওয়া হয়নি। সেসব আবার হয়েছে নিজেদের দোষেই। কখনো অহেতুক শট খেলতে গিয়ে, কখনোবা ঝুঁকিপূর্ণ রান নেওয়ার অভিপ্রায়ে কাটা পড়েছে প্রায় সবার ইনিংস। আর তাতেই বড় ইনিংসের আশা, দলের আরও বড় পুঁজির আশাও খেয়ে গেছে ধাক্কা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুটা করেছিল ভালোই। শুরুর দশ ওভারে দল তুলে ফেলে ৬৪। এরপর দুই ওপেনারই ফিরলেন উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরলেন রান আউটের কাটায় পড়ে, এরপর মাহমুদউল্লাহও। চার ব্যাটারের কেউই ৩০ এর কম রান করেননি, তাদের কাউকেই মনে হয়নি সহসাই উইকেট খোয়াতে পারেন তারা। কিন্তু এরপরও উইকেট গেছে তাদের, বাংলাদেশ পড়েছে বিপাকে।
উইকেট খোয়ালেও বাংলাদেশের রান রেট খুব একটা নেমে যায়নি কখনো। ২০০ ছুঁয়েছে ৩২তম ওভারে। আধুনিক ক্রিকেটে এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং দলের কাছে চাহিদা থাকে ৩৫০ করারই। বাংলাদেশ তার ৪৪ রান আগেই থেমে গেছে। তার কারণ শেষের ব্যাটিং।
রান আউটের কাটায় মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর আর কখনো মনে হয়নি রানটা ৩২০ পেরোতে পারে। তা শেষমেশ হয়ওনি। হৃদয় ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ করে ফিরেছেন, তবে তার ইনিংসটা এসেছে ৯৫ স্ট্রাইক রেটে। শেষটা করে আসার দায়িত্বটা তার ওপরই ছিল, তিনি তা পারেননি।
যেমন পারেননি মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজরাও। তবে বাংলাদেশ ইনিংস শেষ করে ৩০৬ রান তুলে। তবে শুরু থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত ব্যাটারদের সবাই রান করেছেন নিদেনপক্ষে বিশ। তার মানে শুরু পেয়েছিলেন সবাই। এরপরও দলের রানটা বলে দিচ্ছে, রানটা বেশ কমই হয়ে গেছে দলের।