মার্শের কাছেই হারল বাংলাদেশ
৩০৬ রানের পুঁজিটা কম হয়ে গেল কি না, তা নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছিল। মিচেল মার্শ সে প্রশ্নটাই উঠতে দিলেন না। সেঞ্চুরি করলেন, সেখানেও থামলেন না। ফিরলেন একেবারে ম্যাচ শেষ করে। তাতে অবশ্য অন্য একটা প্রশ্ন উঠে আসছে। মার্শ যেভাবে খেললেন, তাতে ৩৫০ ও যদি করত, তাহলেও কি তা যথেষ্ট হতো? অস্ট্রেলিয়া যে ম্যাচটা শেষ করে ফেলেছে পাঁচ ওভার হাতে রেখেই!
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড ছিল সবশেষ ম্যাচেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৯১ রান তাড়া করে জিতেছিল অজিরা। আজ তার চেয়েও ১৬ রান বেশি ছিল লক্ষ্যটা। তবে আফগানরা যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়াকে, বাংলাদেশ তাও পারেনি।
পারবে কী করে? মিচেল মার্শ যে ছিলেন অতিমানবীয় ফর্মে! ১২ রানে এক উইকেট তুলে নিয়ে তাসকিন আহমেদ যে আশাটা দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশকে, এরপরই শুরু তার তাণ্ডবের।
শুরুতে প্রতি আক্রমণে দলকে বিপদমুক্ত করলেন। এরপর একটু একটু করে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। বাংলাদেশ আজ ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই উইকেট খুইয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। থিতু হয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন একের পর এক ব্যাটার। তবে অস্ট্রেলিয়া সে পথে হাঁটেনি। ওয়ার্নারের সঙ্গে মার্শ যে জুটিটা গড়লেন, সেটা হেলায় হারালেন না কেউই। দ্বিতীয় উইকেট জুটিটা তুলল ১২০ রান। মুস্তাফিজের শিকার হয়ে ওয়ার্নার ফিরলে ভাঙে জুটিটা।
তবে এরপর আর কোনো ভুল নয়। স্টিভেন স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে একেবারে জয় নিশ্চিত করেই উঠে এলেন মার্শ। ১৩২ বলে ১৭৭ রানের ইনিংস তিনি সাজিয়েছেন ১৭ চার আর ৯ ছক্কায়। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও তাই অবধারিতভাবেই উঠেছে তার হাতে।