পাকিস্তানকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ড
বিশ্বকাপের সেমিতে খেলতে ইংল্যান্ডের ৩৩৮ রানের টার্গেট ৬.৪ ওভারের মধ্যে টপকাতে হতো পাকিস্তানকে। যা অসম্ভব। অর্থাৎ সেমিফাইনাল খেলা হচ্ছে না ধরেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছিল বাবর আজমের দল। উদ্দেশ্য জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করা। সেটি করতে গিয়েও তালগোল পাকিয়ে ফেলে দলটি। দেড় শর আগেই নেই ৭ উইকেট।
এরপর কেবলই হারের ব্যবধান কামিয়েছে পাকিস্তান। যদিও তাতে লাভ হয়নি খুব একটা। দিন শেষে ৯৩ রানের পরাজয় সঙ্গী করেই বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয়েছে তাদের। পাকিস্তানের হারে চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। অন্যদিকে এ জয়ে শঙ্কা দূরে ঠেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
ইডেন গার্ডেনসে ৩৩৮ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান আব্দুল্লাহ শফিক। চাপ নিতে পারেননি আগের ম্যাচের নায়ক ফখর জামানও। ৯ বল থেকে ১ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। মোহাম্মদ রিজওয়ান এসে সঙ্গ দেন অধিনায়ক বাবর আজমকে।
তবে সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয়নি ইংলিশ বোলাররা। ৩৮ রানে বাবর ফেরার পর রিজওয়ান ফেরেন ৩৬ রানে। সৌদ শাকিলও থিতু হয়ে ফিরে যান ২৯ রানে। ১২৬ রানে পাঁচ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
আঘা সালমানকে সঙ্গ দিতে এসে টিকতে পারেননি ইফতেখার আহমেদ ও শাদাব খান। দেড়শ রানের আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান। এরপর টেলেন্ডারদের নেয় হারের ব্যবধান কমান সালমান। তিনি ৪৫ বলে ৫১ রানে ফিরলে শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে টেলেন্ডাররা। তাতে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ৪৩. ৩ ওভারে ২৪৪ রানে।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডকে দারুণ শুরু এনে দেয় দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। পাওয়ার প্লেতেই স্কোরবোর্ডে জমা করে ৭১ রান। এরপর অবশ্য ৩১ রানে মালানকে ফিরতে হয়েছে। তবে অপরপ্রান্তে ফিফটি তুলে নিয়েছেন বেয়ারস্টো। ৬১ বলে ৫৯ রানে বেয়ারস্টো ফিরলেও দলকে চাপে পড়তে দেননি জো রুট ও বেন স্টোকস। দু’জনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১৩২ রান। বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ইংল্যান্ড।
এরপর রুট ৬০ ও স্টোকস ৮৪ রানে ফিরলেও দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন জস বাটলার (২৭) ও হ্যারি ব্রুকস (৩০)। শেষদিকে দু’জন ফিরলেও তাদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেট খরচায় পাকিস্তানকে ৩৩৮ রানের টার্গেট ছুড়ে ইংল্যান্ড।