মাইলফলক ছোঁয়ার টেস্টে দারুণ কিছু চান মিরাজ

মাইলফলক ছোঁয়ার টেস্টে দারুণ কিছু চান মিরাজ

বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে সিনিয়র পর্যায়ে অধিনায়কত্বের ব্যাটনটা কখনোই হাতে পাননি তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আট বছর পেরিয়ে নবম বছরে এসে অধিনায়কত্বের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। শততম ওয়ানডেতে মিরাজ প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ অধিনায়ক বনেছিলেন।

সেই মিরাজ আরও এক মাইলফলকের সামনে আজ। ৫০তম টেস্টে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চড়াবেন তিনি। এই ম্যাচে আবার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবেও অভিষেক হচ্ছে তার।

তবে এসব ছাপিয়ে পারফর্ম্যান্স দিয়ে ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চান তিনি। বললেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। এটা দেশের জন্য, আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া। আমার মনে হয় দেশের জন্য ৫০টা টেস্ট খেলা অনেক বড় প্রাপ্তি। এখন এটা যেন স্মরণীয় করতে পারি, সেটাই আমার লক্ষ্য।’

ম্যাচটা হবে অ্যান্টিগার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে। এই মাঠে শেষ দুই সফরের প্রথম ম্যাচে ৪৩ আর ১০৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ইতিহাসটা মাথায় আছে, তারপও ভালো ক্রিকেট খেলার আসা মিরাজের।

‘অ্যান্টিগাতে এর আগে আমরা ভালো টেস্ট ক্রিকেট খেলিনি। খুব বাজেভাবে হেরেছিলাম। কিন্তু এবার আমরা নতুনভাবে এসেছি। আমরা এখানে প্রায় ১০ দিনের মতো অনুশীলন করেছি, একটা প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছি। খেলোয়াড়েরাও খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী যে আমার দল অনেক ভালো করবে। সবাই ভালো ক্রিকেট খেলে আমরা যেন ম্যাচটা জিততে পারি। ব্যাটসম্যানরা, বোলাররা, সবাই যেন ভালো পারফর্ম করতে পারি, সেটাই হচ্ছে লক্ষ্য। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে খেলতে পারি, আশা করি এই টেস্টে ভালো একটা ফল আসবে।’

সব মিলিয়ে উইন্ডিজেও পারফর্ম্যান্সটা আশানুরূপ নয় দলের। সবশেষ ১০ বছরে সেঞ্চুরি নেই একটাও। ২০০৯ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে তাদের হোয়াইটওয়াশ করা বাদে টেস্ট জয়ও নেই একটা। 

তবে এবার সে ধারাটা ভাঙতে চান মিরাজ। জানালেন, এবার জয়ের লক্ষ্যেই নামবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো ক্রিকেট খেলা। কারণ, এর আগে আমরা যখন এখানে খেলেছিলাম, টেস্টে আমরা অতটা ভালো করতে পারিনি। গত চার বছরে আমরা যদি দেখি, এখানে দুইটা টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলাম, কিন্তু জিততে পারিনি। আমাদের লক্ষ্য থাকবে জেতার এবং সবাই যেন পারফর্ম করতে পারে।’

সম্পর্কিত খবর