বড় পুঁজির অপেক্ষায় থেকে দিন শেষ উইন্ডিজের
দিন শেষে আফসোসটা কার সবচেয়ে বেশি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। মিকাইল লুইস এবং আলিক এথানেজ তাদের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন, তবে শেষমেশ তা তুলে নিতে পারেননি। আউট হয়েছেন নার্ভাস নাইনটিজে।
সফরকারী বাংলাদেশেরও কি আফসোস কম? প্রথম দুই সেশনে আড়াইয়েরও কম ছিল রান রেট, আঁটসাঁট বোলিংয়ে উইন্ডিজকে মোটেও হাত খুলতে দিচ্ছিল না বাংলাদেশ। তৃতীয় সেশনে কী যে হয়ে গেল! দুই ব্যাটারের অনভিজ্ঞতার ফলে দুটো উইকেট এল বটে, কিন্তু রান উঠল এই সেশনে ওভারপ্রতি ৪.৪৭ করে। তাতে অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ করল ২৫০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে।
উইন্ডিজকে এই রানের কাছাকাছি নিয়ে গেছেন লুইস আর এথানেজ। ৯৭ রান করেন লুইস, এথানেজ ৯০ রান করেন। চতুর্থ উইকেটে এই দুই ব্যাটসম্যানের ১৪০ রানের জুটি দলের ইনিংস মেরামত করে।
লুইস ২১৮ বলে নয়টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে তার ইনিংসটি সাজান। তবে, সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের বলে শাহাদত হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তার বিদায়ের সময় দলীয় স্কোর ছিল ২২৪।
চার রান তুলতে এথানেজও ফিরে যান। ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান ১৩০ বলে ১০টি চার ও একটি ছয় মেরে আউট হন। তাইজুল ইসলামের ডেলিভারিতে উইকেটকিপার লিটন দাস তাকে ক্যাচ করেন।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই চাপে পড়ে। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ৩৮ বলে মাত্র ৪ রান করেন এবং তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন। কেসি কার্টি আট বল খেলে কোনো রান না করেই তাসকিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
কেভেম হজ ২৫ রান করেন, তবে তিনি রান আউট হয়ে যান। লুইস ও এথানেজ ইনিংস মেরামত করেন, তবে তাদের বিদায়ের পর জশুয়া ডি সিলভা ১৪ এবং জাস্টিন গ্রিভস ১১ রান করে দিন শেষ করেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন দুটি, মেহেদী এবং তাইজুল একটি করে উইকেট শিকার করেন। দিন শেষে ম্যাচের অবস্থা এখনো ভারসাম্যে রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ– প্রথম ইনিংস, ৮৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫০ (লুইস ৯৭, অ্যাথানেজ ৯০; তাসকিন ২/৪৬, মিরাজ ১/৪৭, তাইজুল ১/৬৭)।