১২ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া, উড়ছে ভারত
লক্ষ্য ৫৩৪ রানের। এই লক্ষ্য তাড়া করে জেতার রেকর্ড একটাও নেই। এমনকি আধুনিক ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে ৫০০ রান করার কীর্তিও নেই। সব মিলিয়ে লক্ষ্যটা অসম্ভবই ছিল অস্ট্রেলিয়ার।
সেটা সম্ভবত আরও অসম্ভব হয়ে গেল ২৬ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট খুইয়ে। ১২ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে এখন হারের অপেক্ষায় থেকে দিন শেষ করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
আগের দিন যশস্বী জয়সওয়াল শেষ করেছিলেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থেকে। এরপর আজ তিনি থামলেন দারুণ ১৬১ রানের ইনিংস খেলে। ওপাশে লোকেশ রাহুল আগে ফিরলেও ভারত বড় রানের ভিত পেয়ে গিয়েছিল।
এরপর একটা ছোট্ট ধস নামলেও বিরাট কোহলির ব্যাটে চড়ে তা সামলায় সফরকারীরা। এরপর তার সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫৩৩ রানের এভারেস্ট দাঁড় করায় দলটা।
আধুনিক ক্রিকেটে শেষ ইনিংসে ৪৫০ রানের কীর্তি আছে নিউজিল্যান্ডের, সেটাও ২২ বছর আগের কীর্তি। সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটাও ৪১৮ রানের। কাজটা তাই অসম্ভবই হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার।
শেষ বিকেলে পাঁচ ওভারের মতো সময় রেখে ভারত তাদের ইনিংস ঘোষণা করেছিল, যদি অস্ট্রেলিয়ার একটা উইকেট তুলে নেওয়া যায়! যশপ্রীত বুমরাহ আর মোহাম্মদ সিরাজ মিলে তা করেও ফেললেন।
বুমরাহকে দিয়ে শুরু। নাথান ম্যাকসোয়েনিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি, অস্ট্রেলিয়া তখন রানের খাতাই খোলেনি। এরপর তিনে নামেন নাইটওয়াচম্যান প্যাট কামিন্স। তাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন সিরাজ।
পঞ্চম ওভারে আক্রমণে আসা বুমরাহর দ্বিতীয় বলটা ছেড়ে দিয়েছিলেন মারনাস লাবুশেন। সে বলটা তার প্যাডে গিয়ে আঘাত হানে। আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে তর্জনী তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে সেটাও গচ্চা যায় অস্ট্রেলিয়ার।
তাতে দিন শেষের আগে ৩ উইকেট খুইয়ে বসে দলটা। ‘জিততে হলে’ অস্ট্রেলিয়ার এখনও দরকার ৫২২ রান। পরিস্থিতি যেমন এখন, তাতে সেটা না বলে ‘হার থেকে’ ৭ উইকেটের দূরত্বে অস্ট্রেলিয়া, বা ‘জয় থেকে’ ৭ উইকেটের দূরত্বে ভারত বললেই বোধ হয় ঠিক শোনায়!