রেকর্ড গড়া বোলিং ফিগার : ১৫.৫-১০-৫-৪!
জয়ডেন সিলস, শামার জোসেফ আর কেমার রোচ-তিন পেসারের বোলিংয়ে সর্বনাশ বাংলাদেশের। কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্ক স্টেডিয়ামে আলাদা করে রোববার দিনে নজর কাড়লেন সিলস। তার বোলিং ফিগারটা দেখুন- ১৫.৫-১০-৫-৪! বিস্ময়কর ব্যাপার। ১০ মেডেন। নিয়েছেন ৪ উইকেট। দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। এটিই একবিংশ শতকে এসে সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল বোলিংয়ের রেকর্ড! ১৯৭৮ সাল থেকে এটাই সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড।
এমন কৃপণ বোলিংয়ে যে কীর্তি গড়লেন সিলস যার নজির টেস্ট ইতিহাসে নেই। এক ইনিংসে কমপক্ষে ৯০ ডেলিভারি করেছেন, এমন পেসারদের মধ্যে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড এখন ক্যারিবিয়ান এই পেসারের।
সিলস বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ওভারপ্রতি রান দিলেন ০.৩১। এই অর্জনে এতোদিন রেকর্ড দখলে ছিল ভারতের উমেশ যাদবের। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার বোলিং ফিগার ছিল এরকম ২১-১৬-৯-৩। দিল্লিতে ভারতীয় এই পেসার ওভারপ্রতি রান দেন ০.৪২।
আর পেসার এবং স্পিনার এক কথায় সব ধরণের বোলার মিলিয়ে এক ইনিংসে কমপক্ষে ৯০টি ডেলিভারি করা বোলারদের মধ্যে সিলসের চেয়েও কৃপন বোলার আছেন। তিনি রমেশচন্দ্র গঙ্গারাম নাদকার্নি। বাপু নাদকার্নি নামে পরিচিত ভারতের এই বাঁহাতি স্পিনার
১৯৬৪ সালে বিস্ময়কর এক বোলিং ফিগারের নজির দেখান। মেডেন নেন টানা ২১ ওভার। চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ অব্দি তার বোরিং ফিগার ছিল এমন ৩২-২৭-৫-০!
সিলস অবশ্য উইকেট তুলেছেন ৪টি। এমন বোলিংয়ের পর এই ক্যারিবিয়ান পেসার বলছিলেন, ‘আমি শুধু সঠিক জায়গায় বল রাখার চেষ্টা করে গেছি আর চাপটা ধরে রাখতে চেয়েছি। অন্য বোলারদের কাজটা সহজ করতে চেয়েছি। তারা যেন নিজেদের মেলে ধরতে পারে এবং দলের জন্য কাজটা করতে পারে।’
সেই চেষ্টায় তিনি সফল। জ্যামাইকা টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস অল আউট হয়ে গেছে মাত্র ১৬৪ রানে। জবাবে রোববার দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ১ উইকেটে ৭০ রান।