ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও হারল বাংলাদেশ
১৩৪ রানের জবাবে ৮৭ রানে অলআউট! ৭০ রানে ৫ উইকেট থেকে হঠাৎ ধস। শেষ ৫ উইকেট হারালো বাংলাদেশ মাত্র ১৭ রানে! যেন চোখের পলকেই ম্যাচ শেষ! টি- টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে কিছুই করতে পারলো না বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ে আয়ারল্যান্ড এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিল টি- টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি। সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র!
সিলেটে টসে জিতে আয়ারল্যান্ড যে এই ম্যাচে খুব বড় রান করেছিল তাও নয়। ২০ ওভারে ১৩৪ রানকে তেমন বড় স্কোর বলার উপায় নেই। কিন্তু সেই রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ শুরু থেকে যে পথ হারালো আর কোনো দিশাই খুঁজে পেল না! মিডলঅর্ডারে শারমিন আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার ছাড়া বাংলাদেশের বাকি সব ব্যাটার ব্যর্থ।
শারমিন ৪৩ বলে ৩৮ রান করেন। স্বর্ণার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২০ রানের ইনিংস। কিন্তু এই দুজনের সেই স্কোরও বড়কে বড় হার থেকে রক্ষা করতে পারলো না! দলের হয়ে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ডাবল ফিগারের স্কোরে পৌছান দিলারা আক্তার। এই তিন ব্যাটারের সম্মিলিত সংগ্রহ ৬৮ রান। বাকি সাত জনে মিলে করেন মাত্র ১৭ রান! অতিরিক্ত খাত থেকে মিলে ২ রান। এই যোগ-বিয়োগই জানান দিচ্ছে ম্যাচ হারের কারনের নাম আর কিছু নয়-বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা। ম্যাচ শেষে সেই সত্যটা মানলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানাও।
আইরিশ পেসার অরলা প্রেন্ডারগাস্ট প্রথম ম্যাচের মতো সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ দলের মুল হন্তারক। আগের ম্যাচের উনিশ নম্বর ওভারে মেডেনসহ দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেন প্রেন্ডারগাস্ট। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে তার বোলিং বিশ্লেষণটা এমন- ৩.১ ওভারে ১৩ রানে ৩ উইকেট। ম্যাচসেরা খুঁজতে অ্যাডজুটিকেটরদের খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড ১৩৪/৫ (২০ ওভারে, অ্যামি হান্টার ২৩, প্রেন্ডারগাস্ট ৩২, লি পল ১৬, লরা ডেলেনি ৩৫, নাহিদা আক্তার ২/২০, জাহানারা ১/২৫)। বাংলাদেশ ৮৭/১০ (১৭. ১ ওভারে, শারমিন ৩৮, স্বর্ণা ২০, দিলারা ১০, প্রেন্ডারগাস্ট ৩/১৩)।
ফল: আয়ারল্যান্ড ৪৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: অরলা প্রেন্ডারগাস্ট।
সিরিজ: টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতল আয়ারল্যান্ড