সৌম্য-মিরাজের পর ব্যাটে দাপট রিয়াদ-জাকের আলির

সৌম্য-মিরাজের পর ব্যাটে দাপট রিয়াদ-জাকের আলির

সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে আগেই ম্যাচেই। তারপরও বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে আজ বৃহস্পতিবার হেরে গেলে যে হোয়াইট ওয়াশের তিক্ত অভিজ্ঞতা হবে মেহেদী হাসান মিরাজের দলের। ধবল ধোলাই এড়ানোর এই লড়াইয়ে টস ভাগ্য অবশ্য বাংলাদেশের সঙ্গে থাকল না।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশকে।  মেহেদী হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকারের পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলি। ৫০ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩২১ রান।

যদিও ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারেই ভাল ছিল না বাংলাদেশের। দলীয় ৯ রানে সাজঘরের পথ ধরেন তানজিদ তামিম। কোন রান না করেই আউট এই ওপেনার। এরপর লিটন দাসও ফিরে যান শুন্য রানে। দলীয় ৯ রানে শেষ ২ উইকেট। কিন্তু এরপরই দারুণ একটা জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও মিরাজ। দু'জন স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে জমা করেন ১২৭ বলে ১৩৬ রানের জুটি।

৫৮ বলে ৫০ ছুঁয়ে বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই শুরু করেন সৌম্য। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেন না। এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন তিনি। ৬ চার ৪ ছক্কার ইনিংসটি থামে ৭৩ বলে ৭৩ রানে।

তারপর সঙ্গী হারিয়ে বিদায় নেন ক্যাপ্টেন মিরাজও। দুর্ভাগা তিনি। রাদারফোর্ডের থ্রোটা সরাসরিই স্টাম্প ভেঙেছে। আউটের আবেদন করলেও খুব একটা আত্মবিশ্বাসী ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরাজেরও মনে হয়েছে সময়মতো ব্যাট পপিং ক্রিজে ঢুকেছিল।

কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। অল্পের জন্য লানআউট মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফিরলেন ৭৩ বলে ৭৭ রান করে রানআউট হয়ে। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছয়। রাদারফোর্ডের থ্রোয়ে সরাসরিই স্টাম্প ভাঙে তার। স্লো মোশানে দেখা গেল সময়মতো ব্যাট পপিং ক্রিজে ঢুকতে পারলেন না মিরাজ।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ  ঝড় তুলে ৬৩ বলে করেন ৮৪ রান।দেড়শ রানের দুটি করেন জাকেরের সঙ্গে। জাকের নট আউট ৬২।

এর আগে বাংলাদেশও সিরিজের শেষ ম্যাচে তিনটি বদল আনে। তাসকিন ফিরেছেন সিরিজের শেষ ম্যাচে। এই সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলছেন নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। নাহিদ রানা, তানজিম সাকিব ও শরিফুল এই ম্যাচে বিশ্রামে থাকছেন।

সম্পর্কিত খবর