‘নিষিদ্ধ’ অ্যাকশন নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন সাকিব?
সাকিব আল হাসানের দুঃসময় যেন শেষ হচ্ছেই না। ক্রমেই লম্বা হতে থাকা এই তালিকায় নতুন সংযোজন তার বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ হওয়া। গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই খবরটা পেয়েছেন সাকিব।
বার্মিংহামের লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শেষে জানানো হয়েছে, সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ। কাউন্টি ক্রিকেটে সারের হয়ে বল করার সময় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল তার অ্যাকশন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তার কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকছে, যা আইসিসির নিয়মবহির্ভূত।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) সাকিবের বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হতে তাকে আবারও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
তবে ইসিবির এই সিদ্ধান্ত সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেও বড় প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হলে সেই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও কার্যকর হবে। আইসিসির রেগুলেশন ১১.৩ অনুযায়ী, এ নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব জাতীয় ফেডারেশন এবং তাদের অধীনস্থ ঘরোয়া ক্রিকেটেও কার্যকর হবে।
এর ফলে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং চালিয়ে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতেও তার অংশগ্রহণ কঠিন হতে পারে। গত এক বছরে ব্যাটিংয়ে ধারহীন সাকিবের জন্য বোলিংই ছিল প্রধান অস্ত্র, যা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
তবে ঘরোয়া লিগে সাকিব বোলিং করতে পারবেন। নীতিমালার ১১.৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে, জাতীয় ক্রিকেট বোর্ড ঘরোয়া ক্রিকেটে তার বোলিং চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে।
এরপরও সাকিবের ভবিষ্যৎ ঘিরে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে শেষ টেস্ট খেলার পরিকল্পনা, বিপিএলে অংশগ্রহণ—সবই বাধাগ্রস্ত হয়েছে রাজনৈতিক জটিলতার কারণে। তার সঙ্গে এবার যোগ হওয়া এই বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটাকে আরও বেশি হুমকির মুখে ফেলে দিল কি না, সে প্রশ্নও উঠে যাচ্ছে এখন।