জয়ের জয়ের স্বপ্ন নিয়ে সকালেই লড়বে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের ফরম্যাট কোনটা? এই প্রশ্নের জবাবে আর এক বছর আগেও আসত ওয়ানডে ফরম্যাটের নাম। তবে সবশেষ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে চলতি বছরের পারফর্ম্যান্স সে আলাপটাকে অনেকটাই দূরে ঠেলে দিয়েছে। একই সময়ে লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের দারুণ পারফর্ম্যান্সের ফলে মনে হচ্ছে, টেস্ট ক্রিকেটটাই বুঝি দলের স্বাচ্ছন্দ্যের ফরম্যাট।
তবে এতসব কিছুর ভিড়ে টি-টোয়েন্টিটা কখনোই দলের পছন্দের ফরম্যাট বনতে পারেনি। আগেও যে নাজুক অবস্থান ছিল দলের, সেখান থেকে এখনও সরে আসতে পারেনি দল। বরং সবশেষ ভারত সিরিজে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা যেভাবে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে বাংলাদেশকে নিয়ে, তার পর তো আরও অস্বস্তি বাড়ার কথা ২০ ওভারের ক্রিকেটে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্টে একটা ম্যাচ জিতেছে দল, ওয়ানডেতে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে দলের সামনে আবার সে অস্বস্তি ফিরে ফিরে আসছিল। দলের গড়নে যে ভারত আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের খুব একটা পার্থক্য নেই! ৯ নম্বরে নামা রোমারিও শেফার্ডও পিটিয়ে ছাতু বানাতে পারেন প্রতিপক্ষ বোলারদের!
তবে তাদের প্রথম ম্যাচে ঠিকই আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ, তাই এখন পরের দুই ম্যাচেই লিটন দাসের দলের সামনে থাকবে সিরিজ জেতার সুযোগ। দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদেরকে তাদেরই মাঠে হারানোর সুযোগ কেইবা হারাতে চায়?
বাংলাদেশও চাইছে না। সেটা প্রথম ম্যাচ জেতার অন্যতম নায়ক শামীম পাটোয়ারীর কথাতেই স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন সিরিজ জেতার সুযোগ আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব ভালো টি-টোয়েন্টি দল, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি আরেকটা ম্যাচ জিততে পারলে সিরিজটা আমাদের হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।’
দুই দলের শক্তিসামর্থ্যের পার্থক্য অনেক। যেখানে বাংলাদেশ অনেকটাই পিছিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে। তবে সেসব পার্থক্য ঘুচিয়ে সফরকারীরা প্রথম ম্যাচে জিতেছে। তাহলে দ্বিতীয় কিংবা সিরিজের শেষ ম্যাচেও কেন নয়?
আগামীকাল বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। লড়াই শুরু বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা থেকে। সে ম্যাচে প্রথম টি-টোয়েন্টির কীর্তির পুনরাবৃত্তিই চাইবে বাংলাদেশ।