শামীম-মাহেদীকে রানআউট করে কী মনে হচ্ছিল জাকেরের?
বাংলাদেশ শুরুটা দারুণই পেয়েছিল। পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো শুরুর পর দল এগোচ্ছিল বড় স্কোরের দিকে। তবে মাঝপথে বেশ কিছু উইকেট পড়ে যায় দ্রুত। এরপর ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন শামীম পাটোয়ারী আর শেখ মাহেদী হাসান। এই দুই আউটের ক্ষেত্রেই ওপাশে ছিলেন জাকের আলী অনিক।
যদিও শেষমেশ জাকের পুষিয়ে দিয়েছেন। ৪১ বলে ৭২ রানের দারুণ এক ইনিংসে তিনি দলকে এনে দিয়েছেন ১৮৯ রানের বিশাল এক পুঁজি। শেষমেশ ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও তিনিই জিতেছেন।
এই পুরস্কার জেতার পর তিনি জানান, খেলাটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কৌশল নিয়েই খেলছিলেন তিনি। যা করতে পারলে রান পাবেন, বিশ্বাসটা ছিল তার ভেতর। তিনি বলেন, ‘আসলে, সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। এটি আমার জন্য সত্যিই একটি চমৎকার সিরিজ ছিল, পুরো টেস্ট সিরিজ, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোতে। আমি শুধু ভাবছিলাম যে আজকের উইকেট আগের দুই ম্যাচের তুলনায় অনেক ভালো ছিল। আমি চেষ্টা করছিলাম একটু সময় নেওয়ার এবং ক্রিজে নিজেকে সময় দেওয়ার। আমি জানি, যদি আমি ম্যাচে গভীর পর্যন্ত খেলতে পারি, তবে আমি রান করতে পারব।’
তবে মাঝের দুই রানআউটে তার নিজের দায় ছিল বেশ করে। যার ফলে ভেঙেও পড়েছিলেন তিনি, জানান জাকের। তার ভাষ্য, ‘আমি মনে করি ওখানে ভয়াবহ ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ড্রেসিং রুমে গিয়ে আমি নিজেকে দোষ দিতে থাকি, আমার ব্যাট ছুঁড়ে মারছিলাম, আর চারপাশে যা ছিল সবকিছুতে রাগ দেখাচ্ছিলাম। হঠাৎ তৃতীয় (বা চতুর্থ) আম্পায়ার আমাকে ডেকে পাঠায়। পরে আরেকটি রান আউটও আমার কারণে হয়। আমি তখন নিজেকে নিয়ে খুব ভেঙে পড়েছিলাম। তবে আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাকে আমার দলের জন্য খেলার সুযোগ দিয়েছেন। আমি শামীম ও মাহেদীর রানও তুলেছি।’
টেস্টে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন। এরপর ওয়ানডেতেও ভালো কিছু রান করেছেন। এরপর এবার টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখলেন। জাকের জানান, এই সিরিজের প্রস্তুতি তিনি নিচ্ছিলেন বহু দিন ধরে।
তার কথা, ‘আসলে, এটা পুরোপুরি মানসিকতার ব্যাপার। আপনি জানেন, ক্যারিবিয়ান বড় খেলোয়াড়রা যেকোনো ফরম্যাটে আপনাকে আক্রমণ করবে। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিস্থিতিতে। আমি এখানে বিশ্বকাপ খেলেছি, কিন্তু তখন ভালো খেলতে পারিনি। তাই দেশে ফিরে আমি বিশেষভাবে এই সফরের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এবং হ্যাঁ, এখন সবকিছু আমার জন্য ভালো যাচ্ছে।’